ভিতরে

ভোলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা

॥ হাসনাইন আহমেদ মুন্না ॥
ভোলা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার চারটি সংসদীয় আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র দুইজনসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রচরণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এছাড়া গানের তালে-তালেও ভোট চাওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট মার্কার পক্ষে। পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজপথসহ বিভিন্ন অলি-গলি। তবে প্রচরণার ক্ষেত্রে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা-চায়ের দোকানসহ সর্বত্রই আলোচনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে।
জেলা সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী। তিনি প্রতিদিন বিভিন্ন নির্বাচনী পথসভা ও উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন এবং নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। একইসাথে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছেন। গত ১৫ বছরে তিনি ভোলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই ভোটের সমীকরণে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় হ্যাভিওয়েট প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি এই আসনে প্রচরাণা চালাচ্ছেন জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে ছিদ্দিকুর রহমান ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে মোহাম্মদ শাহাজাহান মিয়া। তারাও দিনরাত ভোটারদের কাছে ছুটছেন। তবে ভোটাররা বলছেন, যোগ্য প্রার্থীকেই তারা ভোট দেবন। যে উন্নয়ন করতে পারবে তাকেই তারা চান।
দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-২ আসন। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে রয়েছেন আলী আজম। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেস’র ডাব নিয়ে মো. আসাদুজ্জামান, জাতীয় পার্টির জেপি’র বাইসাইকেল নিয়ে মো. গজনবী ও ফুলেরমালা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন’র শাহেনশাহ মো. সামসুদ্দিন মিয়া। দিনভর প্রার্থীরা গণ-সংযোগ, উঠান বৈঠক, পথসভা, লিফলেট বিতরণসহ নানান প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভোলা-৩ আসন লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনটিতে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় জমে উঠেছে নির্বাচন। এখানে আওয়ামী লীগ সমর্থীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন নূরুরন্নবী চৌধুরী শাওন। পাশাপাশি আরো রয়েছেন- ডাব প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস’র মো. আলমগীর, জাতীয় পার্টির মো. কামাল উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র পার্থী সাবেক এমপি মো. জসিমউদ্দিন।
চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা নিয়ে ভোলা-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। আরো রয়েছেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আলাউদ্দিন, জাতীয় পার্টির মো. মিজানুর রহমান ও তৃণমূল বিএনপি’র নিয়ে মো. হানিফ। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রচারণায় সরগরম এই আসনটি।
জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বাসস’কে বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে ১১জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। একইসাথে চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র নেতৃত্বাধীন একটি ইলেকশন ইনকোয়ারী টিম কাজ করছে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোষ্টগার্ডসহ অনান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কাজ করছে। শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও অনেকটা শেষ পর্যায়। জেলায় প্রার্থীরা নির্বাচনের আচরণবিধি যেভাবে মেনে চলছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট। নির্বাচন পর্যন্ত যাতে এই ধারা অব্যাহত থাকে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

জয়পুরহাটে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে বিনামূল্যে ৩ লাখ ৮৭ হাজার নতুন বই

নড়াইলে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা