ভিতরে

সতীর্থদের গোপন ম্যাসেজ প্রকাশ করে দিলেন নেইমার

 কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর অনেকেই ব্রাজিল দলে ঐক্যের অভাব রয়েছে বলে সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু দলের প্রাণভোমরা নেইমার ক্রোয়েটদের কাছে বিদায়ের পর নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করা কিছু ম্যাসেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করে নিয়ে প্রমান করেছেন এমন তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক  সবসময়ই ছিল এবং এখনো আছে। 
সবাইকে চমকে দিয়ে নেইমার নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের স্টোরিতে সতীর্থ থিয়াগো সিলভা, মার্কুইনহোস এবং রড্রিগোর সঙ্গে তার চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। এমনকি তাদের অনুমতি না নিয়েই যে এটা করেছেন সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
চ্যাটের স্কিনশট শেয়ার করে নিজের ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারদের উদ্দেশে নেইমার লিখেছেন, ‘আমি তাদের অনুমতি না নিয়েই ম্যাসেজগুলো প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমি দেখাতে চেয়েছি আমরা জেতার জন্য কতটা মরিয়া ছিলাম এবং আমরা কতটা একতাবদ্ধ। গ্রুপের সঙ্গে আমি যেসব ম্যাসেজ আদান-প্রদান করেছি, সেগুলোর কিছু এখানে প্রকাশ করা হয়েছে।’
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কুইনহোসের পেনাল্টি মিসে ব্রাজিলের বিদায় নিশ্চিত হয়। এরপর পঞ্চম পেনাল্টিটি নেইমারের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা আর নেবার প্রয়োজন হয়নি। এক বার্তায় ৩০ বছর বয়সী নেইমার মার্কুইনহোসকে লিখেছেন, ‘আমি শুধুমাত্র এটাই বলতে চাই আমি তোমার একজন ভক্ত। তোমার সম্পর্কে আমি কি চিন্তা করি তা এক পেনাল্টিতে পরিবর্তন হয়ে যাবেনা। আমি সবসময়ই তোমার সাথে আছি এবং তুমিও সেটা জানো, তোমাকে ভালবাসি।’
পিএসজিতে নেইমারের সতীর্থ ২৮ বছর বয়সী মার্কুইনহোস জবাবে লিখেছেন, ‘আমি সত্যিই চেয়েছিলাম সবকিছু যেন ভালভাবে হয়। চিন্তাই করতে পারছিনা আমার এক পেনাল্টি মিসে সকলের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। কিন্তু সব কিছুকে পিছনে ফেলে আমাদের শক্ত থাকাটা জরুরী। সময় নিতে হবে এবং দেখা যাক ফুটবল আমাদের ভাগ্যে কি জমা করে রেখেছে।’
৩৮ বছর বয়সী থিয়াগো সিলভাকে উদ্দেশ্য করে নেইমারা লিখেছেন, ‘দু:খজনক হলেও এর মধ্য দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমি অনেক বেশী করে এই কাপটা তোমাদের দিতে চেয়েছিলাম। তুমি, আমি ও ডানি আলভেসের জন্য এই শিরোপটা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ঈশ^রই সব ভাল জানেন।’ 
সিলভা এর উত্তরে লিখেছেন, ‘ভাই, যা ভেবেছিলাম তার থেকেও কষ্টদায়ক ঘটনা ঘটে গেছে। আমি এখনো পুরোটা নিতে পারছিনা। আমরা বিদায় নিয়েছি সেটা আমার বিশ^াসই হচ্ছেনা। যখনই মনে হচ্ছে কান্না চলে আসছে।’
২১ বছর বয়সী রড্রিগোর প্রথম পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ। ঐ মিসেই কার্যত ব্রাজিলের দূর্ভাগ্য সামনে চলে এসেছিল। রড্রিগোকে নেইমার লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে শুধু এটুকুই বলতে চাই তুমি একজন অসাধারন খেলোয়াড়। পেনাল্টি তারাই মিস করে যারা শট নেয়। আমি ক্যারিয়ারে এমন অনেক পেনাল্টি মিস করেছি। সেগুলোর থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। কিন্তু কখনো ভেঙ্গে পড়িনি। সবসময় চেষ্টা করে গেছি নিজেকে আরো উন্নত করার।’
জবাবে রড্রিগো লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ আমার আইডল। হৃদরেয় অন্ত:স্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সব কিছুর জন্য দু:খিত। আমাদের স্বপ্ন আরো পিছিয়ে গেল। আশা করছি তুমি আমাদের সাথে থাকবে, তাহলে সবাই মিলে একসাথে জয় ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে সরকারি কোষাগারে প্রায় তিনশ’ কোটি টাকা

অবৈধ ভাবে বিশ্বকাপ ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের জন্য যুক্তরাস্ট্রে ৫৫টি ওয়েবসাইট বন্ধ