ভিতরে

হৃদয়-জাকেরের ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান

তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটিং নৈপুন্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও জাকের। হৃদয় ৩৮ বলে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে  প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে  ৫৭ এবং জাকের ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান তোলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস।
চতুর্থ ওভারে দলীয় ২২ রানে বিচ্ছিন্ন তানজিদ-লিটন।  ওভারে জিম্বাবুয়ের পেসার পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডেলিভারিতে স্কুপ শট খেলতে গিয়ে বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন। কিন্তু চতুর্থ বল ব্যাটে লাগিয়ে বোল্ড হন ১৫ বলে ২টি চারে ১২ রান করা লিটন।
লিটন আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। পঞ্চম ওভারে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার আর্ম বলে বোল্ড হন নাজমুল(৪)। লিটন-নাজমুলকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান তুলে বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও  ৩১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তানজিদ ও হৃদয়। নবম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হন তানজিদ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ২১ রান করেন তিনি।
তানজিদ ফেরার পর হৃদয়ের সাথে জুটি বাঁধেন জাকের। দু’জনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১২ ওভার শেষে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭৫।
১৩তম ওভার থেকে জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর চড়াও হন হৃদয় ও জাকের। ১৩ থেকে ১৮তম ওভারে ৬৭ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ১৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। এজন্য ৩৪ বল খেলেছেন হৃদয়।
১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের  সর্বোচ্চ ৮৭  রানের জুটি গড়েন হৃদয়-জাকের। আগেরটি ছিলো মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ২০১৯ সালে এই ভেন্যুতেই চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৮ রান যোগ করেছিলেন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ।
হৃদয় ফেরার এক বল পর জাকেরকেও বোল্ড করেন মুজারাবানি। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।
এরপর ইনিংসের শেষ ৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৭ রান তোলেন মাহমুদুল্লাহ ও রিশাদ হোসেন। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষ ৭ ওভারে ৯০ রান তুলেছে টাইগাররা। মাহমুদুল্লাহ ২টি চারে ৯ এবং রিশাদ ১টি বাউন্ডারিতে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের মুজারাবানি  ক্যারিয়ার সেরা ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

উত্তর দিন

মন্তব্য করুন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: স্কটল্যান্ড দলে হুইল ও জোন্স

বায়ার্নকে টপকে যেতে মাদ্রিদকে আরো ভাল খেলতে হবে