ভিতরে

আট গোলের নাটকীয়তায় ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন

অতিরিক্ত সময়ের দুই গোলে ক্রোয়েশিয়াকে সোমবার ৫-৩ গোলে পরাজিত করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্পেন। 
কোপেনহেগেনর পারকেন স্টেডিয়ামে পাবলো সারাবিয়া, সিজার আজপিলিকুয়েটা ও ফেরান টোরেসের গোলে ম্যাচ শেষের ১৩ মিনিট আগে স্পেন ৩-ব্যবধানে  এগিয়ে ছিল। কিন্তু বদলী স্ট্রাইকার মিসলাভ ওরসিচের গোলে ৮৫ মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে ম্যাচে টিকে থাকার আশা জাগায় বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা। স্টপেজ টাইমে ওরসিচের দুর্দান্ত এত ক্রসে মারিও পাসালিচের হেডে সমতায় ফিরে ক্রোয়েশিয়া। ফলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আলভারো মোরাতা ও মিকেল ওয়াজাবালার গোলে লুইস এনরিকের দল দুর্দান্ত এক জয়ের মাধ্যমে শেষ আটের টিকিট কাটে। পুরো ম্যাচে স্প্যানিশদের দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাসই জয়ের পথ খুলে দিয়েছে।
২০১২ ইউরোর ফাইনালে ইতালিকে পরাজিত করার পর এখন পর্যন্ত বড় কোন টুর্ণামেন্টে নক আউট পর্বে জিততে পারেনি স্পেন। শুক্রবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। গতকাল দিনের আরেক ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে সুইসরা। 
১৬ মিনিটে স্পেন এগিয়ে যাবার দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। পেড্রির পিন পয়েন্ট পাস থেকে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের মিডফিল্ডার কোক অল্পের জন্য সফল হতে পারেননি। তার শটটি সরাসরি ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচের হাতে ধরা পড়ে। তিন মিনিট পর মোরাতার হেড ব্লক করেন ডিফেন্ডার ডোমাগো ভিডা। গ্রুপ পর্বে বাজে ফর্ম থাকা সত্তেও স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে আক্রনমভাগে মোরাতার উপরই আস্থা রেখেছিলেন। ২০ মিনিটে পেড্রির আত্মঘাতি গোলে স্প্যানিশ শিবির স্তব্ধ হয়ে যায়। তার একটি ব্যাকপাস গোলরক্ষক উনাই সাইমনের পায়ের উপর বাউন্স করে জালে জড়ালে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় পড়ে স্পেন। এক গোলে এগিয়ে থেকে আকস্মিকভাবেই ক্রোয়েশিয়া আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। নিকোলা ভøাসিচ ও মাতেও কোভাচিচের শট আটকাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছেন সাইমনকে। বিরতির সাত মিনিট আগে সারাবিয়ার গোলে সমতায় ফিরে স্পেন। হোসে হায়ার শট ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ রুখে দিলেও ফিরতি বলে স্পেনকে গোল উপহার দেন সারাবিয়া। 
দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই বেশ ধীরগতিতে ম্যাচ শুরু করে। এই সুযোগে এগিয়ে যায় স্পেন। ৫৭ মিনিটে ফেরান টোরেসের ফ্লাইটেড ক্রস থেকে পোস্টের খুব কাছে থেকে হেডের সাহায্যে আজপিলিকুয়েটা স্পেনকে প্রথমবারের মত লিড এনে দেন। ৬৭ মিনিটে জোসকো ভারডিলোর একটি শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন সাইমন। দারুন এক ফিনিশিংয়ে ম্যাচ শেষের ১৩ মিনিট আগে টরেস স্পেনের ব্যবধান দ্বিগুন করেন। বদলী খেলোয়াড় প‘ টরেসের দুর পাল্লার পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান ম্যানচেস্টার সিটির এই এ্যাটাকার। ম্যাচে যখন স্পেনের জয় প্রায় নিশ্চিত তখনই পারকেন স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান ওরসিচ। এরপর বদলী খেলোয়াড় ওরসিচের দুর্দান্ত ক্রসে পাসালিচের গোলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। 
বিরতির পর ম্যাচ আবারো শুরু হলে ক্রোয়েশিয়াই প্রথমে আধিপত্য দেখিয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের নয় মিনিটে ডানি ওলমোর ক্রসে লিভাকোভিচবে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি অভিজ্ঞ মোরাতা। তিন মিনিট পর ওলমোর ক্রস থেকে রিয়াল সোসিয়েদাদের প্লেমেকার ওয়াজাবাল পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ালে স্পেনের দারুন এক জয় নিশ্চিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

রোমাঞ্চকর ম্যাচে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ আটে সুইজারল্যান্ড

মেসির জোড়া গোলে বলিভিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাল আর্জেন্টিনা