ভিতরে

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্সিটি ক্যাম্পাসগুলোতে গ্রেফতার, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে গ্রেফতার, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলী অভিযান নিয়ে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা গত মাস থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।
পুলিশ বুধবার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে।
নিউইয়র্কের ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এবং স্কুল ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের আস্তানা থেকে তাদের উচ্ছেদ করে। কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
এদিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেফতার শেষে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের ক্যাম্পাসে মোতায়েন রাখা হয়েছে।
ম্যাসাচুচেটস ইন্সস্টিটিউট অব টেকনোলিজতে বিক্ষোভকারীরা বুধবার সন্ধ্যার ব্যস্ততম সময়ে কেমব্রিজ ক্যাম্পাসের কাছের এভিনিউ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকডজন পুলিশের গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে। এর আগে এ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের সাথে পাল্টা বিক্ষোভকারীদের সশস্ত্র সংঘাত বেঁেধ যায়।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাদের ক্যাম্প থেকে উচ্ছেদ করে। একইসঙ্গে অন্তত ১৭ জনকে আটক করে।
গাজায় ইসরায়েলী অভিযানের বিরুদ্ধে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা তাঁবু খাটিয়ে আস্তানা তৈরি করে এবং সেখানে অবস্থান নেয়।
কলম্বিয়া ও নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশের আচরণের নিন্দা করে।
পুলিশ কমিশনার এডওয়ার্ড ক্যাবান বলেছেন, কলম্বিয়া ও নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩শ’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেয়র এরিক অ্যাডামস উত্তেজনা বাড়ানোর জন্যে বহিরাগতদের দায়ী করেছেন।
যদিও কলম্বিয়ার শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে টিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন দেয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
যদিও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের ধারণা মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা যদি প্রতিবাদ করতে যায়, তাহলে আমেরিকানদের অধিকার আছে শান্তিপূর্ণভাবে তা মোকাবেলা করার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশী অভিযানের পক্ষে তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন।
তিনি প্রতিটি কলেজের প্রেসিডেন্টের প্রতি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প অবিলম্বে ভেঙে দিয়ে তাদের উচ্ছেদের আহ্বান জানান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

উত্তর দিন

মন্তব্য করুন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম লক্ষ্য সিরিজ জয় : শান্ত

বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন