ভিতরে

বাগেরহাটে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৮ সদস্যের কারাদন্ড

বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৮ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই সাথে ৬ আসামীকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার কাকারবিল এলাকার মো. বেদার মোল্লার ছেলে আকাশ মোল্লা, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লোকমান ফরাজির ছেলে মো. কবিরুল ইসলাম, একই জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালি আলম হাওলাদার ওরফে শাহজাহানের ছেলে মিজানুর রহমান, রঘুনাথপুর গ্রামের আশরাফুল আলী ফরাজির ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, সাতক্ষিরা সদর উপজেলার গড়েরকান্দা গ্রামের মো. জুম্মান আলী সরদারের ছেলে মো. মাকসুদুর রহমান, সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের গিয়াশ উদ্দিনের ছেলে মো. মোরশেদ আলম, ইটাগাছা গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার নাটইখালী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে আকাশ মোল্লা, মো. কবিরুল ও মিজানুর রহমানকে ৮ বছর , জহিরুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান ও মো. মোর্শেদ আলমকে ৫ বছর এবং মো. সাইফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলামকে ২ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মো. সাইফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম ছাড়া বাকী সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে সরকার বিরোধী নাশকতা সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশ্যে জেলার কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী এলাকার সাফায়েত শেখের বাগানের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অবস্থান নেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে যায়। তখন জেএমবি সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া করে পুলিশ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পিস্তল, চারটি হাত বোমা, শর্টগানের গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটারের হার্ডডিক্স ও সংগঠনটির জিহাদি বই জব্দ করা হয়। তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১১ মে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। মামলার ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে এই রাষ ঘোষনা করেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মো. শহিদুজ্জামান বলেন, মামলায় স্বাক্ষী প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৮জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এই আইনজীবী।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কুমিল্লার বোর্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে

বাংলাদেশের সাথে আরও ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে আগ্রহী ওয়ালমার্ট