ভিতরে

মার্টিনেজের পর্তুগাল দলে ডাক পেলেন রোনাল্ডো

: নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ প্রথমবারের মত গতকাল পর্তুগাল জাতীয় দল ঘোষনা করেছেন। ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বে লিখেনস্টেইন ও লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে মাটিনেজের দলে ডাক পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। 
৩৮ বছর বয়সী এই সুপারস্টার এই মুহূর্তে দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়, বাছাইপর্বের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষনা করতে গিয়ে মার্টিনেজ সংবাদ সম্মেলনে রোনাল্ডো সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি বয়সের দিকে তাকই না।’
আগামী ২৩ মার্চ লিসবনে লিখেনস্টেইনকে আতিথ্য দেবার পর ২৬ মার্চ লুক্সেমবার্গ সফরে যাবে পর্তুগাল। 
এর মাধ্যমেই ২০২৪ ইউরোর যাত্রা শুরু হচ্ছে উল্লেখ করে মার্টিনেজ বলেছেন তার ঘোষিত প্রথম দলটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। 
২০০৩ সালে আগস্টে কাজাখাস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে রোনাল্ডোর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে নিজের ক্যারিয়ারকে শুধুমাত্র সমৃদ্ধ করেছেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১১৮ গোল করে সর্বাধিক গোলের গর্বিত মালিক রোনাল্ডো। আগামী দুই ম্যাচে মূল একাদশে খেলার সুযোগ পেলে রোনাল্ডো তার এই গোলসংখ্যাকে নি:সন্দেহে আরো বাড়িয়ে নিবেন। 
এ নিয়ে সাতবার লিখেনস্টেইনের মোকাবেলা করে ছয়বারই জয়ী হয়েছে পর্তুগাল, অপর ম্যাচটি ড্র হয়েছে। ২০০৪ সালের বিশ^কাপ বাছাইপর্বের ঐ ম্যাচে রোনাল্ডো মূল দলে খেললেও পুরো ৯০ মিনিট খেলেননি। এ পর্যন্ত এই সাত ম্যাচে পর্তুগাল দিয়েছেন ৩৫ গোল, হজম করেছেন ৩ গোল। কিন্তু রোনাল্ডো এখন পর্যন্ত এই দলের বিরুদ্ধে কোন গোল করতে পারেননি। 
অন্যদিকে লুক্সেমবার্গের সাথে ১৯ বারের মোকাবেলায় ১৭টিতেই জয়ী হয়েছে পর্তুগাল, হেরেছে মাত্র একটিতে। গোল দিয়েছে ৫৯টি, হজম করেছে ৮টি। এর মধ্যে রোনাল্ডো করেছেন ৯ গোল, যেকোন আন্তর্জাতিক দলের বিরুদ্ধে এটাই রোনাল্ডোর সর্বাধিক গোল। 
২০০৪ সালের ইউরোর পর থেকে সব আন্তর্জাতিক ম্যাচেই পর্তুগালকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন রোনাল্ডো। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে পর্তুগাল ইউরোর শিরোপা জয় করেছিল। কাতার বিশ^কাপে ঘানার বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে গোল করে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ^কাপেই গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু শেষ ষোলতে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর্তুগালের জয়ের ম্যাচটিতে তিনি মূল দলে সুযোগ পাননি। কোয়র্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে পরাজিত হয়ে বিদায়ের ম্যাচটিতেও তিনি বদলী বেঞ্চ থেকে খেলতে নেমেছিলেন।
স্কোয়াড :
গোলরক্ষক : দিয়োগো কস্তা, হোসে সা, রুই প্যাট্রিসিও।
ডিফেন্ডার : দিয়েড়ো ডালোট, হুয়া ক্যান্সেলো, ডানিলো পেরেইরা, পেপে, রুবেন ডিয়াস, এন্টোনিও সিলভা, গনসালো ইনাসিও, দিয়োড়ো লিয়েটে, নুনো মেনডেস, রাফায়ের গুয়েরেইরো।
মিডফিল্ডার : হুয়াও পালহিনহা, রুবেন নেভেস, বার্নান্ডো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেস, হুয়াও মারিও, ম্যাথিউস নুনেস, ওটাভিও মন্টেইরো, ভিটিনহা।
ফরোয়ার্ড : ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, গনসালো রামোস, হুয়াও ফেলিক্স, রাফায়েল লিয়াও, দিয়োগো জোতা।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

আওয়ামীলীগ কৃষি বান্ধব সরকার : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী 

সাকিব-হৃদয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান