ভিতরে

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। এটি স্লোাগান নয়, বাস্তবতা। চট্টগ্রাম বন্দর যখন থেমে যায় তখন বাংলাদেশ থেমে যায় এমনটি উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি-১ এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটিতে সর্বপ্রথম ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজের বার্থিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৪ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বড় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়লে জাহাজে কন্টেইনারের পরিমাণ বাড়বে ও পণ্য পরিবহন খরচ কমবে। ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম কমে সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ হাজার ৬৫০টি জাহাজ  ভিড়েছে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করা হবে। ২০২৪ সালে বে-টার্মিনাল চালু করার কথা থাকলেও করোনা মহামারি এবং বৈশ্বিক দুর্যোগ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বহুবিধ সমস্যায় আছি। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুতে বে-টার্মিনালের বৃহৎ অংশ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দর চালু করতে সক্ষম হবে। এছাড়া, মাতারবাড়ী বন্দর ২০২৬ সালের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে চালু হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান ২০০৮ সালে ছিল ৬০তম স্থানে। সেখানে গত ১৪ বছরে ৩৫তম স্থানে উন্নয়নের অধিকাংশ কৃতিত্বের অধিকারী চট্টগ্রাম বন্দর বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল নির্মাণের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমিকা রয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বাংলাদেশের বাজেট তৈরির জন্য বিদেশিদের কাছে যেতে হতো। এখন দাতাগোষ্ঠী আমাদের পিছনে হাটছে। ২০৩০ সালে অর্থনৈতিক সূচকে ২৫ থেকে ৩০ এর  মধ্যে চলে যাব।  তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে স্থিতিশীলতা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে আরো বেশি সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবে। কোন বিদেশি চাপে পিছিয়ে যাবেনা।
প্রতিমন্ত্রী এরআগে চট্টগ্রাম বন্দরের ভান্ডার ভবন এলাকায় নবনির্মিত ‘চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীয় ভান্ডার’  উদ্বোধন করেন। ৭১ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ভান্ডারের মোট প্রজেক্ট এরিয়া ৫১ হাজার বর্গফুট।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ এবং কর্ণফুলী রিভার স্টাডি কনসালটেন্ট এইচ আর ওয়ালিংফোর্ড এর বাংলাদেশের পার্টনার ইন্টারপোর্টের পরিচালক ড. মঞ্জুরুল হক।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বিএনপিকে জনগণের শায়েস্তার মুখোমুখি হতে হবে : হানিফ

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে