দেশে অনেক চাষী অধিক ফলনের আশায় আলু চাষ করেন। কিন্তু সঠিক জাত নির্বাচন না করায় অনেকেই আশানরুপ ফল পান না। তাই আলুর অধিক ফলন পেতে হলে উচ্চফলনশীল উন্নত জাত নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে গবেষকদের আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। সরকার গবেষকদের পাশে থাকবে।
শনিবার রাজধানীর ফার্স হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি) ও বাংলাদেশ পটেটো এক্সপার্টার্স এসোসিয়েশন (বিপিইএ) আয়োজিত ‘রফতানির জন্য উপযুক্ত নতুন আলুর জাত পরিচয় ও নির্বাচন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলু বিশে^র অন্যতম প্রধান ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আলু। বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। দেশের সর্বত্রই এর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারজাতকরণের জন্য কিছু জেলায় এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, প্রক্রিয়াজাত আলু বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আলু একটি স্টার্চ প্রধান খাদ্য এবং ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্তত ৪০টি দেশে আলু মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। আলু স্বল্পমেয়াদি উচ্চফলনশীল ফসল যা জমির স্বল্পতাহেতু বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষি বিজ্ঞানী ড. শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুর রহিম খান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিপিইএর মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, বিএডিসির গবেষনা সেলের যুগ্ম পরিচালক ও প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. রেজাউল করিম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. সামছুল আলম বক্তব্য রাখেন।
কৃষিবিজ্ঞানী ড. শেখ আব্দুল কাদের ও ড. জেসি সরকার কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।
ভিতরে বাণিজ্য
একটি মন্তব্য