ভিতরে

স্বপ্নধরা নিবেদিত ‘মা পদক’ শিল্পী সাংবাদিকদের মায়ের হাতে

‘বিশ্ব মা দিবস’ ছিল গত ৮ মে। সেদিনই যাত্রা শুরু হলো ‘মা পদক’র। রাজধানীর রিজেন্সী হোটেলে সন্ধ্যায় আয়োজিত ‘স্বপ্নধরা’ নিবেদিত ‘মা পদক’ ২০২২—এর যাত্রা শুরু হলো। স্বপ্নধরা কতৃর্ক প্রথমবার আয়োজিত এই সম্মাননায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লা।

‘মা পদক’—এ ভূষিত হয়েছেন ‘আম্মাজান’খ্যাত জীবন্ত কিংবদন্তী নায়িকা শবনম, নায়িকা শাবনাজ ও অভিনেত্রী মৌ’র মা আঞ্জুমান নাহার, অভিনেত্রী তারিনের মা, নায়িকা পূর্ণিমার মা সুফিয়া বেগম, অনুষ্ঠান প্রযোজক অনন্যা রুমার মা রহিমা বেগম মিতু, অভিনেতা সজলের মা কানিজ ফাতেমা, গায়িকা কণা’র মা লুৎফুন নাহার, অভিনেত্রী রুনা খানের মা আনোয়ারা খান, উপস্থাপিকা শান্তা জাহানের মা জাহানারা বেগম, গায়ক প্রতীক হাসান—প্রীতম হাসানের মা ফাতেমা হাসান পলাশ, অভিনেত্রী তানজিন তিশার মা সালমা বেগম, রেমিটেন্স যোদ্ধা মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের মা রওশন আক্তার ও দেশের চারজন এই প্রজন্মের নন্দিত বিনোদন সাংবাদিক এফ আই দীপু’র মা আয়েশয়া আক্তার, নিপু বড়ুয়ার মা রানু বড়ুয়া, মীর সামীর মা গুলশান আরা শোভন ও লিমন আহমেদের মা ফাতেমা আক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘মা পদক’র নামকরণ যিনি করেছেন—সাংবাদিক রকিব হোসেন।

শান্তা জাহানের অনবদ্য উপস্থাপনায় রুনা লায়লা’র হাত থেকেই প্রত্যেক শিল্পী, সাংবাদিক, রেমিটেন্স যোদ্ধা’র মায়েরা ‘মা পদক’ গ্রহণ করাটাই যেন এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন সবাই। অনুষ্ঠানে ‘মা পদক’ গ্রহন শেষে প্রত্যেক সন্তান যখন মাদেরকে নিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তখন প্রায় প্রত্যেক সন্তানই আবেগে কেঁদেছেন।

যে কারণে এক অন্যরকম পিনপত্তন নীরবতার আবেগময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথী রুনা লায়লা তার বক্তব্যে বলেন, ‘সকল মায়েদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। এই ধরনের আবেগময় পরিবেশের মুখোমুখি আমিও কোনদিন হইনি। আমার আজকের অবস্থানের নেপথ্যে আমার মায়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বড়। নিঃসন্দেহে অভি’র এই উদ্যোগ ভীষণ প্রশংসনীয়। মায়েদের মা পদকের মধ্যদিয়ে যে সম্মাননা জানালো তা সত্যিই ভীষণ ভালোলেগেছে আমার কাছে। শবনম আপা সাধারণত কোন অনুষ্ঠানে যান না।

তিনিও এখানে সম্মানিত হয়েছেন বিধায় আরো বেশি ভালো লেগেছে। মা পদক’র আরো সাফল্য কামনা করি।’ সাথে সাথে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘স্বপ্নধরার’ উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করেন। অভি মঈনুদ্দীন বলেন,‘ আমার এই স্বপ্ন পূরণে শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা আপা, স্বপ্নধরার কর্ণধার মাসুদ ভাই, সকল শিল্পী, সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর ফাউন্ডেশন, জেড অ্যা—জেড এসোসিয়েটস এগিয়ে এসেছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ তিনি জানান, প্রতিবছরই ‘মা পদক’ বিশ্ব মা দিবসে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ড. ওয়াজেদ মিয়া নিরহংকার প্রচারবিমুখ অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত : তথ্যমন্ত্রী

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সেবা লেনদেনের স্বাদ পাচ্ছেন গ্রামীণ গ্রাহকেরাও