ভিতরে

ওআইসি যুব চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ওআইসি যুব চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতাকে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃষ্টির পথ হিসেবে বর্ণনা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এটি একটি অনন্য উদ্দীপক প্লাটফর্ম। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা। 
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে তথ্য ভবন মিলনায়নে ওআইসি যুব চলচ্চিত্র উৎসবের (ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ফিল্ম এওয়ার্ডস ২০২০-২১) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  একথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও চলচ্চিত্র সমালোচক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) খাদিজা বেগম এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আকতার হোসেন অনলাইনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর আগে গত ১৫ মার্চ ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ফিল্ম এওয়ার্ডস ২০২০-২১ উদ্বোধন করেন। 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সমাজের প্রতিচ্ছবি, কালের দর্পণ। আর তরুণরা প্রতিটি জাতির সবচেয়ে বড় মানবসম্পদ এবং তারাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে, আমরা চাঁদে গিয়েছি, আগামী একশ’ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহেও যাওয়ার আশা রাখি। কিন্তু আমরা এতই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি যে, নিজেকে ছাড়া পরিবার বা বৃহত্তর পরিবার এবং সমাজের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করার সময় হারিয়ে ফেলছি। এই ক্রান্তিলগ্নে চলচ্চিত্রই পারে আমাদের মাঝে মনুষ্যত্বকে বাঁচিয়ে রাখতে। সেকারণে বহুবিধ শিল্প ও কলার সমন্বয়ে গড়ে উঠা সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে চলচ্চিত্রের ভূমিকা মানুষের জন্য ক্রমেই আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। 
বাঙালি জাতির অভ্যুদয়ের ইতিহাসে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাঙালি জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতি গঠনে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃষ্টিশীল কাজের জন্য ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের দেশের নির্মাতারা কালজয়ী সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, জাতিকে পথ দেখাতে, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিবেদন করতে ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চলচ্চিত্রে আবার স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছেন। ’
সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান ওআইসি যুব চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ২০২০-২১ এর মূল স্থান হিসেবে বাংলাদেশের রাজধানীকে বেছে নেয়ায় আয়োজকদের প্রতি অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী তিনটি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেন। 
তুরস্কের চলচ্চিত্র ‘দ্য ওয়েস্টেড ইফোর্ট’, বাংলাদেশের ‘স্টোরি অভ আ ব্ল্যাক রিভার’ এবং তিউনিসিয়ার চলচ্চিত্র ‘ফ্রান্স ১৯১১’ যথাক্রমে মধ্যপ্রাচ্য, বাংলাদেশ ও আফ্রিকা অঞ্চল থেকে ‘গ্লোবাল উইনার’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কাল আবার বসছে সংসদের বাজেট অধিবেশন

ডিজিটাল কর্মসূচি ব্যাংকিং খাতে বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী