ভিতরে

লিভারপুলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

এ্যানফিল্ডে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে গোলশুন্য ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে লিভারপুল। ঘরের মাঠে কালকের ম্যাচে বেশ কয়েকটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি অল রেডসরা।
বিপরীতে মাদ্রিদ তাদের সেরা ফর্মের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও দিন শেষে জয়ের হাসি নিয়ে তারাই বাড়ি ফিরেছে। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকা লস ব্লাঙ্কোসরা শেষ চারে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসির মোকাবেলা করবে।
মোহাম্মদ সালাহ ও জর্জিনিও উইজনালডামকে কালকের ম্যাচের খলনায়ক বলা যেতেই পারে। জার্গেন ক্লপকে বারবার হতাশ করার পিছনে এই দুজনের ব্যর্থতায় দায়ী ছিল। দুই বছর আগে সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে ৪-৩ ব্যবধানে পরাজিত করে যেভাবে নিজেদের দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিল তার পুনবাবৃত্তি রিয়ালের বিপক্ষে করতে পারলো না ক্লপ শিষ্যরা।
ম্যাচের আগেই অবশ্য ক্লপ স্বীকার করেছিলেন ম্যাচ বাঁচাতে হলে দর্শকবিহীন এ্যানফিল্ডের অচেনা পরিবেশে তার দলকে অতি কাল্পনিক কিছু করে দেখাতে হবে। করোনাভাইরাসের কারনে মাঠে দর্শকের উপস্থিতি না থাকলেও ম্যাচের শুরু থেকে বেশ উজ্জীবিত ছিল রেডরা। ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যেই তারা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। ওজান কাবাকের লম্বা পাস থেকে সাদিও মানে দারুনভাবে বল বাড়িয়ে দেন সালাহকে। কিন্তু মৌসুমের একেবারে শেষ ভাগে এসে নিজেকে মেলে ধারা এই মিশরীয় তারকার বল সরাসরি রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার হাতে জমা পড়ে। প্রথম লেগের মতই বিস্ময়করভাবে থিয়াগো আলচানতারাকে বদলী বেঞ্চে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্লপ। কাল তার স্থানে মধ্যমাঠে খেলেছেন জেমস মিলনার। সালাহর গোল মিসের এক মিনিটের মধ্যেই মিলনার তার উপস্থিতির জানান দেন। তার একটি শট করিম বেনজেমার গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। ১০ মিনিট পর মিলনারের দুর পাল্লার শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন কোর্তোয়া।
রিয়ালের দুর্দান্ত ফর্ম ইতোমধ্যেই লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার পথে সহায়ক হয়ে উঠেছে। একইসাথে ইউরোপীয়ান আসরে ১৪তম শিরোপা দখলে সেমিফাইনালের লাইন-আপ বিবেচনায় গ্যালাকটিকোদেরই ফেবারিট মানা হচ্ছে। যদিও শনিবার মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্ল্যাসিকোতে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে পরাজিত করার পর মাদ্রিদ বস জিনেদিন জিদান সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন তার দলের খেলোয়াড়দের শারিরীক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কাল মাদ্রিদের পারফরমেন্সে পরিশ্রান্ত ভাব সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছিল। প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে না থাকলে কাল ম্যাচের ভাগ্য ঘুরেও যেতে পারতো।
বেনজেমার ক্রস থেকে কাবাকের গায়ে লেগে ডিফ্লেকটেড হয়ে বলটি এ্যালিসন বেকারকে প্রায় পরাস্ত করে ফেলেছিল। প্রথমার্ধে এই একটি সুযোগই সৃষ্টি করেত পেরেছিল মাদ্রিদ। অন্যদিকে বারবার সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি লিভারপুল। বিরতির আগে আবারো সালাহর শট পোস্টের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ২০১৯ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ঐতিহাসিক লড়াইয়ে উইজনালডাম দুই গোল করেছিলেন। কিন্তু কাল আরো একটি স্প্যানিশ জায়ান্টের বিপক্ষে এই ডাচ তারকা নিজেকে কোনভাবেই মেলে ধরতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষের দিকে তিনি ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেছেন। পোস্টের খুব কাছে বল পেয়েও তিনি কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন। ৬০ মিনিটে মিলনার ও কাবাকের পরিবর্তে ক্লপ থিয়াগো ও দিয়োগো জোতাকে মাঠে নামান। রক্ষনভাগে সেরা চারজনের মধ্যে তিনজনকে ছাড়াও মাদ্রিদ সহজেই ফিরমিনো, সালাহ ও জোতাকে সামলে নিয়েছে। প্রথম লেগে ভিনসিয়াস জুনিয়রের দুই গোলই উভয় দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। কালও দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে এই ব্রাজিলিয়ানের একটি সুযোগ রুখে দিয়ে এ্যালিসন ব্যবধানটা বাড়াতে দেননি। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে বেনজেমার হেড জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

করোনা পজিটিভ হয়ে মন্টে কার্লো থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন মেদভেদেভ

গার্দিওলার অধীনে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি