ভিতরে

বারি উদ্ভাবিত মেশিনে ঘন্টায় ৭০ কেজি মুগডাল ভাঙ্গানো সম্ভব

 বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত মুগডাল ভাঙ্গানোর মেশিন মাঠে প্রদর্শন করা হয়েছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে অতি সহজেই ঘন্টায় ৪০ থেকে ৭০ কেজি মুগডাল ভাঙানো যায়। কৃষকের কাছে সহজ প্রাপ্য চার ঘোড়ার ডিজেল ইঞ্জিন এর মাধ্যমে এটি পরিচালনা করাও সহজ।
কৃষকদের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত মুগডাল কৃষকরা যাতে সহজে প্রক্রিয়াজাত করে ভোগ করতে পারে সেলক্ষ্যে বাংলাদেশ বারি’র ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেষ্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ মুগ ডাল ভাঙ্গানোর এই যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। 
আজ বৃহস্পতিবার বারি’র ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছে সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয়া-মেকানাইজেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন অ্যাক্টিভিটি (সিসা-এমইএ), সিমিট, বাংলাদেশ ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ যন্ত্রটিতে তিনটি চাকা রয়েছে যার মাধ্যমে সহজেই এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে, এমনকি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই যন্ত্রে মুগ ডাল ভাঙার পরিমাণ খুবই নগণ্য। এমনকি এই যন্ত্রের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় দুই ধাপে তেল মাখিয়ে ডাল ভাঙ্গালে ২০ থেকে ৩০ ভাগ আস্ত ডাল পাওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান এবং সাবেক পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মো. আইয়ুব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই) বারি ও সিসা-এমইএ প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ড. মো. নূরুল আমিন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন মুগ ডাল উৎপাদিত হয়। বেশিরভাগ ডাল পটুয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চলের কৃষকরা উৎপাদন করে থাকে। বারি মুগ-৬ ওই অঞ্চলে কৃষকদের নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে যা এক ফসলী জমিকে দুই ফসলী জমিতে রূপান্তরিত করেছে। কিন্তু বরিশাল অঞ্চলে উৎপাদিত এই মুগ ডালগুলো ওই অঞ্চলের কৃষকরা খুব কমই খেতে পারে। মুগ ডালের খোসা ছাড়িয়ে উপযোগী ডাল উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি সহজলভ্য নয়। সাধারণত দক্ষিণাঞ্চল উৎপাদিত মুগ ডাল বড় বড় ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করে মেশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করে অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রয় করে থাকে।
তিনি জানান, বারি’র ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেষ্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কৃষকের ব্যবহার উপযোগী বারি মুগ ডাল ভাঙ্গানো যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে অতি সহজে মুগডাল ভাঙানো যায়।
বারি ও সিসা-এমইএ প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মুহাম্মদ এরশাদুল হক জানান, এ যন্ত্র উদ্ভাবনের গবেষণার সাথে ঝিনাইদহের মাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এবং বগুড়ার হক মেটাল সরাসরি জড়িত ছিল। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

উত্তর দিন

মন্তব্য করুন

জয়পুরহাটে সূর্যমূখী চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা

এমবাপ্পের গোলে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে পিএসজি