ভিতরে

এস এ মালেকের দাফন সম্পন্ন 

 জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 
আজ বুধবার বিকেল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরোস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এস এ মালেক ইন্তেকাল করেন। 
বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার বাসসকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ শরীরের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। 
এস এ মালেকের দ্বিতীয় নামাজে জানাযা বুধবার বাদ জোহর রাজধানীর কলাবাগান মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও আগা খান মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. আ ব ম ফারুক,  বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস প্রমুখ।
জানাযা শেষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে এস এ মালেকের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক  সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জমান সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এস এ মালেকের প্রথম নামাজে জানাযা বেলা ১২ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. এস এ মালেক ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
প্রবেশিকা পর্যন্ত তিনি গ্রামের স্কুলে পড়াশুনা করেন। ১৯৫৪ সালে খড়রিয়া ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হন। ১৯৫৬ সালে বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে আইএসসি ও ৫৮ সালে ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। একজন সচেতন রাজনীতিক হিসেবে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে এদেশের  সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এস এ মালেক সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অনুগত এস এ মালেক প্রথম জীবনে একজন আ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক, পরবর্তীতে একজন হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। 
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হলে ডা. এস এ মালেক সক্রিয় ভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এ কারণে একপর্যায়ে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান গ্রহণ করতে বাধ্য হন। ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদকে সুসংগঠিত করার কাজে মনোযোগ দেন। 
এস এ মালেক ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শেখ আব্দুল রাজ্জাক তখন সেখানে বণবিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগের হাট জেলারফকির হাট থানার মূলঘর ইউনিয়নের সৈয়দমহল্লা গ্রামে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

শিল্পের আলোয় উন্মোচিত অনুভূতি সমাজকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে : রাষ্ট্রপতি 

প্রকল্প টেকসই হলে তৃণমূলের জনগণ স্থায়ীভাবে উপকৃত হবে : স্পিকার