ভিতরে

শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পঞ্চগড়ের মীরগড়ের মিস্টান্ন টোপা

শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পঞ্চগড়ে মিস্টান্ন টোপা। খেতে যতটা সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হওয়ায় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে এর চাহিদা। শতবছর পূর্বে আন্ধারী বেগম নামের এক নারী বিশেষ এ মিস্টান্ন তৈরি করে বিক্রি করতো।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত সমান চাহিদা ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এ মিস্টান্নটি। 
পঞ্চগড়ে অতিথি আপ্যায়ন আর বন্ধুদের চা চাক্রের আড্ডায় মিস্টান্ন হিসেবে টোপা বেশ জনপ্রিয়। চালের গুড়ো, ময়দা, চিনি অথবা গুড় দিয়ে স্থানীয় ভাবে তৈরি রসালো মিস্টান্ন টোপা এখন জেলার মানুষের রসনা বিলাসের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে উপহার হিসেবে। এছাড়া স্কুল-কলেজের টিফিন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এ মিস্টান্নটি খাওয়া যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।
কৃত্রিম কোন রং বা কেমিক্যাল না মিশিয়ে চালের গুড়ো অথবা ময়দা দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি রসালো টোপা চিনি বা গুড়ের সিরায় ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। দামেও বেশ সস্তা হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও বেশ।
মীরগড় এলাকার আরমান জানান, অতিথি আপ্যায়ন আর নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মিস্টান্ন টোপা খেতে যতটা মজার একই ভাবে বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছে পরিবেশন করেও আনন্দ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থী কাকলি আলো ও সজিব জানায়, স্কুলের টিফিনের পর আমরা সবাই মিলে টোপা খাই । টোপা খেতে খুব মজা লাগে। 
মিষ্টান্ন টোপা কারিগর ও বিক্রেতা মো: জাহের আলী  বলেন, টোপা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। টোপা বাবা দাদার ব্যবসা তা ধরে রেখেছি। ময়দা, চিনি, গুড় দিয়ে টোপা বানানো হয়। প্রতিদিন দুইশ থেকে তিনশ পিস টোপা বিক্রি হয়। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি। 
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: আতাউর রহমান জানান, ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যালের মিশ্রন না থাকায় টোপা নিরাপদ খাবার বলে সবাই এখান থেকে টোপা নিয়ে যাচ্ছে।
সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম দুলাল বলেন, মীরগড়ে রসালো মিস্টান্ন টোপা স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের রসলা বিলাসে টোপা আকৃষ্ট করেছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভোলায় ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন

নড়াইলে দু’দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উদ্বোধন