ভিতরে

এবার ২২১ রান করে পাকিস্তানকে হারালো ইংল্যান্ড

 দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২শ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েও পাকিস্তানের কাছে অসহায়ভাবে ১০ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয়েছিলো সফরকারী ইংল্যান্ডকে। তবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুই ব্যাটার বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুকের ব্যাটিং তান্ডবে ২২১ রান করে, এবার ঠিকই ম্যাচ জিতে নিলো ইংলিশরা। ২২২ রানের টার্গেটে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি পাকিস্তান।  ৬৩ রানের জয়ে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গতরাতে করাচিতে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে নামের পাশে ৮ রান রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ফিল সল্ট। দলীয় ১৮ রানে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ হাসনাইনের শিকার হন সল্ট।
দ্বিতীয় উইকেটে ২৫ বলে ৪৩ রান তুলে পাওয়ার প্লেতে দলকে শক্ত স্কোর এনে দেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস ও ডেভিড মালান। ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫৭ রান পায় ইংল্যান্ড। তবে নবম ওভারের মধ্যে বিদায় নেন জ্যাকস ও মালান।  ২২ বলে  চার বাউন্ডারিতে জ্যাকস ৪০ ও মালান ১৫ বলে ১৪ রান তুলেন। দু’জনই পাকিস্তানের স্পিনার উসমান কাদিরের শিকার হন।
দলীয় ৮২ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ইংল্যান্ডের হাল ধরেন ডাকেট ও ব্রুক। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে  ১৫ ওভারে দলকে দেড়শ রান এনে দেয় এ জুটি। তখন হাফ-সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে ছিলেন ডাকেট। ৩৭ রানে ছিলেন ব্রুক।
কিন্তু ১৬তম ওভারে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রান তুলে ২৪ বলেই সাত ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন  ব্রুক। 
পরের ওভারে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ডাকেটও। এজন্য ৩১ বল লেগেছে তার।
শেষ ৫ ওভারে ৬৯ রান তুলেন ডাকেট-ব্রুক। আর চতুর্থ উইকেটে ৬৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৩৯ রান তুলেন তারা। ফলে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই ইংলিশদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর ডাকেট-ব্রুকের জুটিও পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে সর্বোচ্চ। এমনকি ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান।
৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪২ বলে  ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন   বাঁ-হাতি ডাকেট। ৩৫ বলে অনবদ্য ৮১ রান করেন ডান-হাতি ব্রুক। তার ইনিংসে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিলো। পাকিস্তানের কাদির ৪৮ রানে ২ উইকেট নেন।
২২২ রানের বিশাল টার্গেট পেয়েও আত্মবিশ^াসী ছিলো পাকিস্তান। কারন মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেই ২শ রানের টার্গেট স্পর্শ করেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম। সেঞ্চুরি করে বাবর ১১০ ও রিজওয়ান ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু এ ম্যাচে দু’জনই ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
তিন নম্বরে নামা হায়দার আলিকে ৩ রানে আটকে দেন ইংল্যান্ড পেসার মার্ক উড। উপরের সারির তিন ব্যাটারের মত দু’অংকে পা রাখতে পারেননি পাঁচ নম্বরে নামা ইফতেখার আহমেদও। ৬ রান করে পেসার স্যাম কারানের শিকার হন তিনি। এতে ২৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর পঞ্চম উইকেটে খুশদিল শাহকে নিয়ে ৩৮ বলে ৬২ এবং ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে ৩৮ বলে ৫২ রান যোগ করেন মাসুদ কেবলমাত্র দলের হারের ব্যবধানটাই  কমাতে পেরেছেন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ৪০ বলে  তিন বাউন্ডারি  ও চার ওভার বাউন্ডারিতে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তুলেন মাসুদ। খুশদিল ২৯ ও নাওয়াজ ১৯ রানে শিকার হন স্পিনার আদিল রশিদে।  ইংল্যান্ডের উড ৩ ও রশিদ ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ব্রুক।
আগামীকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কথাসাহিত্য কেন্দ্রের গল্প পাঠ আড্ডা অনুষ্ঠিত

রিচারলিসনের জোড়া গোলে ঘানাকে সহজেই পরাজিত করেছে ব্রাজিল