চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত ৭

 চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের ৭ জন নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। 
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও নগরীর সাত ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫ জন ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলার ২ জনে একজন বাঁশখালী ও একজন কর্ণফুলীর। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৩১ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৯২৪ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৯০৭ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৭ জনের নমুনায় শহরের ২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৬ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ টিতে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৯ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৮ জনের নমুনায় গ্রামের একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
এছাড়া, বেসরকারি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবে পরীক্ষিত ৩২ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, চমেকহা’য় ১২ দশমিক ৫০, শেভরনে ৫ দশমিক ১৩ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৫০ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।