ভিতরে

দেশের একমাত্র আম কেন্দ্রীক ” বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম ” এর বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি-ঃ শাহনেওয়াজ দুলাল ১৩/৬/২১ রবিবার।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়নের অন্যতম দর্শন হলো গ্রামীন অর্থনীতির বিকাশের মাধ্যমে কৃষকের নায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। সে স্বপ্ন পুরনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে “বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো মিউজিয়াম”। আজ (১৩ জুন) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালকের কক্ষে এক সভায় ” বঙ্গবন্ধু ম্যাংগো লাইভ মিউজিয়ামের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এ কে এম তাজ- কির -উজ -জামান। সভায় তিনি জানান। এই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নে প্রায় একশত বিঘা জমিতে ২৫/৩০ জাতের প্রায় ২৪ শত আম গাছ নিয়ে এই মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত এছাড়া শতবর্ষী পুরানো আম গাছও রয়েছে এখানে। স্থানীয়দের কাছে এটি রাজার বাগান নামেও পরিচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক পালাবদল আর অযত্ন অবহেলায় আগের জৌলুশ হারিয়ে ফেলে হতদরিদ্র চেহারা লাভ করে। অযাচিত রাসায়নিক সার ব্যাবহার ও উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে বাগনটিতে আম উৎপাদন খুবই কমে আসে।বৃহৎ এ বাগনটি পরিণত হয় জঙ্গিবাদের অভয় আশ্রম ও মাদক সেবীদের আড্ডা খানায় অন্ধকার ও নিশ্চুপ বাগনটি স্থানীয় ভুমি দস্যু দখলদারদের নজরে পড়ে।নানা অসামাজিক কার্যকলাপে বাগনটি ব্যাবহারে এর কুখ্যাতি আগের সুখ্যাতিকে ছাপিয়ে যায়। জেলা প্রশাসন কতৃক অতিসাম্প্রতিক এই মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিার পর এখানে অবৈধ ভাবে বসবাসরত ২৭ টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে বাগানটি দখল মুক্ত করা হয়।বর্তমানে অরক্ষিত এ বাগনটির চারিদিকে ১০ ফিট উঁচু নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে এছাড়া প্রবেশ পথে দৃষ্টি নন্দন একটি গেট নির্মাণ শেষের পথে। এ বছর আম বিশেষজ্ঞ দ্বারা নিবিড় তত্ত্বাবধানের ফলে এবার ফলনও সন্তোষজনক। জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম কে ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। এখান দেশের সর্ববৃহৎ মাতৃগাছ(জার্মপাল) সেন্টার করে দেশের সকল জাতের আম গাছ রোপণ এবং বিলুপ্ত প্রায় জাত ছড়িয়ে দেওয়া হবে সারাদেশে ও বারো মাস আম পাওয়া যাবে এখানে। আম উৎপাদনের পাশাপাশি এখানে আমের তৈরী পণ্য যেমন-ঃআমের আচার, জুস,ম্যাংগো বার, আমচুর, আইসক্রিম, কেক,সহ বিভিন্ন পণ্য সারাবছর পাওয়া যাবে এখানে। আমের বিপণন, প্রক্রিয়াজাত করণ,মূল্য সংযোজন, ও রপ্তানি কেন্দ্রীক কর্মকান্ড কে গতিশীল করতে বছরব্যাপী এখানে দেশী ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের ব্যবস্থা করা হবে যা এলাকাকে সমৃদ্ধ করবে। আমগাছের ফল ধরার ভিত্তিতে( অগ্রীম, মধ্যবর্তী ও শেষপর্যায়ের) জেনিং করে এই বাগানকে সাজানো হবে ফলে এটিই হবে প্রাকৃতিক আমের সর্ববৃহৎ গবেষনাগার। ম্যাংগো টুরিজম বিকাশে ম্যাংগো ট্রি হাউজ,রিসোর্ট, ফুডকোর্ট,গাড়ি পার্কিং সহ আধুনিক সুবিধা থাকবে এ মিউজিয়ামে। এ মিউজিয়ামে দেশি গুটি জাতের আমের নামকরণ, বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমের এ্যালবাম তৈরি করা হবে। সভায় তিনি এ মিউজিয়ামের গৃহীত পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন,আমের রাজধানীতে আমের উন্নয়নে ফলে এই এলাকার আমের বিকাশই হবে জাতির পিতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আমাদের মেধা,মনন,সময় ও শ্রম দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করেছে। আপনাদের পরামর্শ ভালবাসা আর আন্তরিক ইচ্ছা এই মিউজিয়াম কে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে বলে তিনি আসা প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা তসলিম উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. মাজহারুল ইসলাম তরু,জেলা হর্টি কালচারাল অফিসের প্রতিনিধি,জেলা আমগবেষনা গারের প্রতিনিধি ও জেলা অনলাইন ম্যাংগো প্রডিউসারের শামিম খান প্রমূখ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ইসিজি মেশিন ও সার্জিক্যাল মাস্ক দিলেন মোখলেসুর রহমান

খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিষয়ে তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট