ভিতরে

খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিষয়ে তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে সব নথিপত্র ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই আদেশ দেন।
রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বাসস’কে জানান, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টসহ খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখের বেশকটি নথি রয়েছে। তাঁর এসএসসির নম্বরপত্রে জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্মতারিখ লেখা রয়েছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেয়া তাঁর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তাঁর করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম তারিখ লেখা আছে ৮ মে ১৯৪৬। এভার কেয়ার হাসপাতালের নথিতেও একটি জন্ম তারিখ রয়েছে। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারির আর্জি পেশ করা হয়।
নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, আদালত বিষয়টি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিষয়ে বিভিন্ন নথিতে দেয়া যাবতীয় তথ্য আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দাখিলে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জন্মতারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন নির্দেশনার দাবীতে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশ দেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র্র সচিব, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি ও বেগম খালেদা জিয়াকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় বাসস’কে বলেন, রিট আবেদনে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাঁর এসএসসির নম্বরপত্রে জন্মতারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেয়া তাঁর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্মতারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তাঁর করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্মতারিখ লেখা আছে ৮ মে ১৯৪৬। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করেন।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে আদালত দাখিল করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

দেশের একমাত্র আম কেন্দ্রীক ” বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম ” এর বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেওয়া যায় তা ভাবছে সরকার : শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি