ভিতরে

আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল পরিছন্ন রাজনীতির পথে পাড়ি দেয়া একজন আলোকিত মানুষ

বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। প্রায় ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশে উজ্জিবিত একজন বিশ্বস্ত-আস্থাভাজন এবং কর্মী বান্ধব জনপ্রিয় নেতা। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের জ্বালাও পোড়ানো আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, এক-এগোরাসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী অকুতোভয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে দৃড়তার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়ে মাঠ ময়দানে কাঁপিয়েছিলেন। তার নেতা কর্মীদের আপন করে নিতেন খুব সহজে,তাদের বিপদ আপদে সবসময় পাশে থাকতেন এমনকি তিনি যা খাবার খেতেন প্রত্যেক কর্মীকে তাই খাওয়াতেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুবলীগকে আপন মহিমায় ফিরিয়ে আনতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে বহুবার কারা নির্যাতনের শিকার হন ২০০৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জোনের ডিসি পুলিশ পল্লবী থেকে উনাকে আটক করে কারাগারে পাঠান। দুইদিন পর মুক্তি পেয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেখানো পথ অনুসরন করে দেশের কল্যানে কাজ করার লক্ষ্যে ছুটে চলছেন প্রতিনিয়ত। তিনি বহুবার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এখনো পুরো শরীরের আঘাতের চিহৃ নিয়ে রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০১০ সালে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের অধিবেশন যোগ দান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা’র সুখী ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারে। শৈশবে দুরন্ত দুর্বার চৌকুস ডানপিঠে মেধাবী ছেলেটি হাটি হাটি পা পা করে আজ একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতা। সততা দক্ষতা সেবা ন্যায়পরায়নতা নিষ্ঠায় সদায় সর্বদা একজন নিবেদিত প্রাণের মানুষ। তিনি পরিবারের সাত বোন,পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সেজো। পিতা মরহুম মোফাজ্জল হোসেন খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু আদর্শের একজন নিবেদিত কর্মী। বৃহত্তর মতলবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি ১৯৭৯ সালে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরবর্তিতে তিনি বগুড়ার শাহ সুলতান ডিগ্রী কলেজ থেকে বি এস এস ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক, বড় ছেলে মাসরুর হোসেন খান নাবিল, একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত। ছোট ছেলে মুসারাত হোসেন খান নাহিদ উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত। আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ৯০ দশকে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন, পরবর্তী ১৯৯১ সালে ঢাকা মহানগর অবিভক্ত যুবলীগের সাবেক (৯ নং ওয়ার্ড) বর্তমান ১৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নির্বাচিত হন, ১৯৯৪ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে সাধারন সম্পাদক ,২০১২ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সালে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে উমরাহ হজ্ব পালন করেন, আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ব্যাক্তি জীবনে একজন সদালাপী, নম্র, ধার্মিক, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যাপক সফলতা লাভ করেছেন। বর্তমানে নাবিল প্রোপ্রাইর্টিজ লিঃ, নাবিল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং ইন্ডাসট্রিজ লিঃ এবং মেসার্স খান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কর্মময় জীবনে বহুদেশ ভ্রমন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড ও দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ গ্রাম চাঁদপুর মতলব উত্তর বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা মিরপুরের বায়তুল আমান জামে মসজিদ, উপদেষ্টা বাইতুল সালাহ্ জামে মসজিদ ,দারুল কোরআন এতিম খানা মাদ্রাসা, বায়তুল মামুন জামে মসজিদ, বায়তুল আশরাফ জামে মসজিদ, বায়তুল রব জামে মসজিদ, বায়তুল আহসান জামে মসজিদ, খান বাড়ী বায়তুল ফালহা জামে মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ২ হাজার ৬২৪