বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সততার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব হলো-মানসম্মত পণ্য ও সেবা ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্য পায়, সেটি নিশ্চিত করা এবং ভোক্তা অধিকারের ব্যাপারে তাদের সচেতন করা। এসব দায়িত্ব আপনাদের সততার সাথে পালন করতে হবে।’
সোমবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব কে এম আলী আজম, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য দেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষে শপথ করি-প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য ক্রয়ে প্রতারনার হাত থেকে ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই আইন মোতাবেক ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। ভোক্তাদের অধিকারের বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজটিও সংস্থাটি করে চলেছে।
করোনাকালীন সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস অতিমারি শুরুর দিকে কোন কোন অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির চেস্টা করেছিল। কিন্তু অধিপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠে পর্যায়ে নিয়মিত অভিযানে চালিয়ে সেই অপতৎপরতা বন্ধ করে দেয়। তারা সেসময় অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সহজ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, ন্যায্যামূল্যে পণ্য নিশ্চিত করতে ভোক্তাবান্ধব বাজার ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালরে অধীনস্থ কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি আসন্ন রমজানে সাশ্রয়ী মূল্যে পন্য পাওয়া যাবে।
শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, এবার ভোক্তা অধিকার দিবসে চমৎকার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষে শপথ করি-প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ বন্ধে প্লাস্টিক উৎপাদন ও এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে আমরা এবছরই আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। আশা করি এই আইনটি হয়ে গেলে দেশে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়বে।
ভিতরে বাণিজ্য
একটি মন্তব্য