ভিতরে

সেপ্টেম্বরের শেষদিনে চট্টগ্রামে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রমবর্ধমাণ প্রবণতায় চট্টগ্রামে সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৩১ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবরেটরিতে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৩১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ জন ও উপজেলার ১১ জন। উপজেলার ১১ জনের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৭ জন, হাটহাজারীতে ৩ জন ও পটিয়ায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ৩১ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯৫৪ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
উল্লেখ্য, গেল সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে ২/৩ জন করে নতুন করোনা রোগি শনাক্ত হচ্ছিল। মাসের শেষভাগে এসে এ সংখ্যা ও সংক্রমণ হার ক্রমে বাড়তে থাকে। ২৪ সেপ্টেম্বর ৯০ জনের নমুনায় ২ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। হার ছিল ২ দশমিক ২২ শতাংশ। ২৫ সেপ্টেম্বর ১২৩ জনের মধ্যে ১১ জন আক্রান্ত মিলে। হার ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৭১ জনের নমুনায় ১৮ জন শনাক্ত হন। হার ১০ দশমিক ৫২। ২৭ সেপ্টেম্বর ৯৪ জনের নমুনায় ১৬ টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। হার ১৭ দশমিক ০২। ২৮ সেপ্টেম্বর ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন নতুন রোগি পাওয়া যায়। হার ১৪ দশমিক ৭৬। ২৯ সেপ্টেম্বর ১৩৯ টি নমুনার মধ্যে ২৫ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। হার ছিল মাসের সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তবে গেল মাসে করোনাশূন্য দিনও পাড় করেছে চট্টগ্রাম। ১৭ সেপ্টেম্বর ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।  
ল্যাবভিত্তিক গতকালে রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ৭ জন পজিটিভ হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৪ নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৭ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১ ও গ্রামের ৩ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ জন আক্রান্ত মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের ৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে পরীক্ষিত ১২ নমুনার মধ্যে শহরের ২ টিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭ জনের নমুনায় শহরের একজনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৪ নমুনার মধ্যে শহরের ১ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। এছাড়া, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮ নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, চমেকহা’য় ২১ দশমিক ৪৩, সিভাসু’তে ১৪ দশমিক ৮১, শেভরনে ১৪ দশমিক ২৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৪ দশমিক ২৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ দশমিক ১৪ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নতুন আইজিপির শ্রদ্ধা