ভিতরে

দলে জায়গা পেলে রুট-ব্রডদের অ্যাশেজ খেলতে যেতে বললেন স্ট্রস

 অস্ট্রেলিয়ায় করোনা সংক্রান্ত কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে আগামী অ্যাশেজ সিরিজ নিয়ে ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের মধ্যে  কিছুটা দোদুল্যমনতা দেখা গেছে।  পরিবারকে সাথে নিয়ে অ্যাশেজে খেলতে যেতে চায় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। কিন্তু বিধি-নিষেধের কারনে পরিবার নিয়ে ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলিয়া সরকারের।
পরিবার সাথে না থাকলে ইতোমধ্যেই অ্যাশেজে না খেলার হুমকি দিয়েছেন  বেশ কয়েকজন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার। তবে অবস্থা যাই হোক, দলে সুযোগ পেলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের অ্যাশেজে খেলতে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাবেক ডিরেক্টর এন্ড্রু স্টস।
তিনি জানান, অ্যাশেজ ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট সিরিজ। সারাবিশ্বের কাছে এটির মর্যাদা অনেক বেশি। তাই দলে সুযোগ পেলে ক্রিকেটারদের অ্যাশেজে খেলা উচিত।
আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ। কোভিড নিয়ন্ত্রণ নীতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কঠোর অবস্থানে। তাই অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং দেশটির ক্রিকেট বোর্ড চায় না, করোনার প্রকোপের মাঝে পরিবার নিয়ে কোন দল অস্ট্রেলিয়ার সফর করুক।
অস্ট্রেলিয়া সফরে কোয়ারেন্টাইন এবং বিভিন্ন  বিধি নিষেধ সম্পর্কে খুব শিগগিরই  ইসিবিকে বিস্তারিক জানানো হবে।  ১১ সপ্তাহের সফরের জন্য সকাইকে মেনে চলতে হবে। যেকোন শর্তই মেনে চলতে রাজি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। কিন্তু সফরের জন্য পরিবারকে সাথে রাখার অনুমতি চাইছেন তারা। যদি অনুমতি না মেলে, অনেক তারকা ক্রিকেটারকে অ্যাশেজে দেখা নাও যেতে পারে।
তবে দলে সুযোগ পেলে অ্যাশেজ খেলা উচিত বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ অ্যাশেজ জয়ী  ইংল্যান্ড অধিনায়ক  স্ট্রস।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অ্যাশেজে অবশ্যই হওয়া উচিত। আমরা কোভিডের সাথে বসবাস করা শিখে গেছি। যদিও অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন জায়গা। তবে সমর্থকদের জন্য অ্যাশেজ অনেক কিছু। আমার মনে হয় অ্যাশেজের জন্য কেউ ডাক পেলেই তার যাওয়া উচিত।’
স্ট্রস আরও বলেন, ‘অন্যান্য খেলা চলছে। এরপরেও অ্যাশেজ হয় না কীভাবে। অ্যাশেজ মাঠে গড়ানোর উপায় আছে এবং আমার মনে হয় আমরা সঠিক পথেই আছি। আমি আশা করবো, অ্যাশেজে পরিবার নিয়ে যাওয়া যাবে এবং সেখানে সব ব্যবস্থা  থাকবে।’
দলে সুযোগ পেলে অ্যাশেজে খেলতে যাওয়া উচিত বলে জানান স্ট্রস, ‘ব্যক্তিগতভাবে, আমি মনে করি অ্যাশেজ সফরের দলে নির্বাচিত হলে আপনার যাওয়া উচিত। আমার মতে, অ্যাশেজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়া উচিত নয়। কিন্তু আমি বুঝতে পারি, সবাই বিষয়গুলো  একটু ভিন্নভাবে দেখে।’
অ্যাশেজ আয়োজন করতে দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ড সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে মনে করেন স্ট্রস। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া সরকার এবং ইসিবি খেলোয়াড় এবং তাদের পরিবারের ব্যাপারটি বিবেচনায় রাখবে।’
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পাইন। তিনি বলেছেন, ‘রুট-বাটলাররা না আসলেও, ৮ ডিসেম্বর থেকে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডের কোন খেলোাড়কে কেউ আসতে বাধ্য করছে না। আপনি যদি আসতে না চান, তাহলে আসবেন না।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভারত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ

বড় মঞ্চে পারফর্ম করার আত্মবিশ্বাস আছে : মালিক