ভিতরে

জয়পুরহাটে কোরবানীর জন্য দেড় লাখ পশু মজুদ

জেলায় এবার এক লাখ পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হলেও কোরবানীর জন্য  উপযুক্ত পশু মজুদ রয়েছে  ১ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫টি। করোনা পরিস্থিতির কারনে পশুর হাটবাজার গুলো বন্ধ থাকলেও গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাধারণ ক্রেতা ও দেশের  বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পাইকাররা তাদের পছন্দ মতো গুরু ছাগল কিনছেন। আবার অনলাইনেও কোরবানীর পশু কেনা বেচা হচ্ছে।  দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করা  হবে আগমী ২১ জুলাই।
জেলা প্রািণ সম্পদ দপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জয়পুরহাট জেলায় ছোট বড় মিলে জেলায় ১১ হাজার ৬৮৪ টি পশুর খামার রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এক লাখ পশু কোরবানী করা  হবে এমন টার্গেট নির্ধারণ করা হলেও খামারে বর্তমানে পশু মজুদ রয়েছে  ১ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫টি । এরমধ্যে রয়েছে গরু ৬৪ হাজার ১৩০ টি, মহিষ ১৭৮ টি, ছাগল ৬৭ হাজার ২৮৪ টি ও ভেড়া রয়েছে ১৯ হাজার ৬৪৩ টি। যা দিয়ে জেলার কোরবানীর চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৫১ হাজারের বেশি পশু দেশের বিভিন্ন  এলাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে।খামার গুলোতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটাতাজা করণ কর্মসূিচর আওতায় পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে। ছোট বড় মিলে জেলায় ২২ টি পশুর হাট থাকলেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের করোনা প্রাদুূর্ভাব রোধ কর্মসূিচর আওতায় বর্তমানে পশুরহাট গুলো বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ ৫ টি অনলাইন প্লাট ফর্মের মাধ্যমে পশু কেনা বেচার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্রামীণ পর্যায়ে গরু-ছাগলের খামার তৈরিতে সরকারের নানামূখী আয় বর্ধন মূলক কর্মসূিচ বাস্তবায়নের  ফলে সাধারণ মানুষ এখন অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন গরু-ছাগলের খামার করে। স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির আওতায় এবার ৫৭ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি  ঢাকাতে অনলাইনের মাধ্যমে ৩৩ টি গরু ও ৫০ টি ছাগল বিক্রির ব্যবস্থা করেছে বলে জানান, সহকারী পরিচালক (প্রাণি সম্পদ বিভাগ) ওবাইদুল ইসলাম।  করোনা পরিস্থিতির কারনে কোরবানীর পশুর হাট বন্ধ থাকলেও  ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা  থেকে আগত কিছু গরুর পাইকার স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গ্রামে ঘুরে ঘুরে কোরবানীর পশু কিনছেন বলে জানান, জেলা খামার মালিক সমিতির সভাপতি শাদমান আলিফ মিম রায়হান জয়। এবার ছোট ও মাঝারী সাইজের গরুর চাহিদা বেশী কিন্তু  বড় জাতের ফ্রিজিয়ান গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়  খামারীরা বলেও জানান তিনি। জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বনখুর  গ্রামের শাদমান আলিফ মিম রায়হানের ’অরণ্য এগ্রো’ খামার ঘুরে দেখা যায় সেখানে ২৮ টি গরু রয়েছে কোরবানীর উপযুক্ত। এরমধ্যে কালাপাহাড় নামে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু রয়েছে যার ওজন প্রায় ৯৮৬ কেজি।  দাম  ৬ লাখ টাকা দাম ধরা হলেও বাইরের ক্রেতারা দাম করেছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি। কালাই উপজেলার দুরঞ্জ মহল্লার সৌখিন খামারী আমিরুল ইসলাম  গরুর নাম রাখেন ’স¤্রাট’। ওজন ৩২ মণ দাম হাকছেন ১২ লাখ টাকা। তিন বছর ধরে লালন পালন করে এখন তিনি লোকসানের মুখে। সখ ছিল ঢাকা গাবতলী হাটে এই গরু বিক্রি করবেন কিন্তু লকডাউনে সম্ভব না হওয়ায় তিনি চিন্তিত। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পশুর হাট বন্ধ থাকলেও  অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে কোরবানীর পশু কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পাশাপাশি দেশের অঞ্চলের পাইকাররা গ্রামে ঘুরে পছন্দ মতো পশু কিনছেন বলে জানান, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহফুজুর রহমান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এপেক নেতাদের নিয়ে মহামারী বিষয়ে জরুরি সভা আহ্বান করেছেন

ভোলায় লকডউন বাস্তবায়নে ৫২ জনকে জরিমানা