ভিতরে

অনলাইনে পশু বিক্রি এখন কুমিল্লা জেলা-উপজেলায়

করোনা মহামারির মধ্যেই এবারও পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ মানে ত্যাগের আনন্দ। সেই কোরবানিকে সামনে রেখে অনলাইনে শুরু হয়েছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। শুধু কুমিল্লা জেলা শহরে নয়, উপজেলাতেও পশু বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। কুমিল্লা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে এ বছর অনলাইনে বেশিরভাগ পশু বিক্রি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। হাটে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তাই কুমিল্লার খামারিরা এ বছর অনলাইনে পশু বিক্রির দিকে ঝুঁকছেন। জেলার অন্যতম বড় খামারি দাউদকান্দির মা ফরিদা ডেইরি অ্যান্ড এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মাহতাব পিংকু বাসসকে বলেন, এ বছর খামারে ১৩৪টি গরু কোরবানির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩টি গরু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। বিক্রিত পশু ঝামেলা ছাড়াই বিনা খরচে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।
কুমিল্লার সোয়াগাজী এলাকার পশুর ফার্ম সিহাব এগ্রোর মালিক মো. কামরুল ইসলাম বাসসকে বলেন, ইতোমধ্যে ১৩টি পশু বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। আশা করছি, গত বছরের চেয়ে এবার কয়েকগুণ বেশি পশু বিক্রি হবে। এ খামারে সর্বনিম্ন ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহত্তর কুমিল্লার বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় শতাধিক ব্যবসায়ী এখন অনলাইনে কোরবানির পশুর ব্যবসা করছেন। ব্যবসায়ীরা ফেসবুক ভিত্তিক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে পশুর ছবি পোস্ট দিয়ে সঙ্গে ওজন ও দাম লিখে দিচ্ছেন। ক্রেতাদের পছন্দ হলে মুঠোফোনে কথা বলে সরাসরি ফার্মে এসে পছন্দের গরু কিনছেন। অনলাইনের এ হাটে কোনো ঝক্কিঝামেলা নেই। কোরবানির ডিজিটাল হাট এরই মধ্যে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, এ হাটের পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে জনপ্রিয়তাও। চান্দিনার ক্রেতা ইকবাল হোসেন বাসসকে বলেন, অনলাইনে গত বছরও গরু কিনেছি। হাটে গরু কিনলে অনেক সময় ঠকতে হয়। কিন্তু অনলাইনে প্রতিষ্ঠিত ফার্ম থেকে গরু কিনলে ওজনসহ সবদিক হিসাব করে কেনা যায়। করোনার কারণে এবার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি অনেক খামারি ফেসবুকে পেজ খুলে গরু বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে অনেকেই অনলাইনে গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু বিক্রি শুরু করেছেন। এবার কোরবানির হাট কেমন হবে তা অনেকেরই অজানা। তাই অনলাইনে পশু দেখে অনেকে খামারে যাচ্ছেন, পশু দেখছেন, ওজন করছেন। এরপর পছন্দ হলে পেমেন্ট দিচ্ছেন। কোরবানির একদিন বা দুদিন আগে খামার কর্তৃপক্ষ পশু বাসায় পৌঁছে দেয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। অসংখ্য কৃষক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন খামারি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেসবুকের মাধ্যমে চালু করেছে অনলাইন হাট ও কোরবানির গরুর মেলা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গরুর হাটে কুমিল্লাবাসীকে যতটা সম্ভব কম যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাসসকে বলেন, কুমিল্লায় বেশকিছু অনলাইর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে অনলাইনে বা ক্রেতারা পরিবারের লোকজন সঙ্গে নিয়েও পশু কিনতে পারেন। এখন থেকে কোরবানির পশু কিনলে কেউ ঠকবেন না।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ” হেল্প চাঁপাই ” এর উদ্দ্যোগে করোনা চিকিৎসায় ১০ লক্ষ টাকার ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান।

সিলেটে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন চাহিদা বেড়েছে