ভিতরে

স্মার্ট সিটি উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী জাপান

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, স্মার্ট সিটির উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রাখছি এবং জাপান এখন স্মার্ট সিটির উন্নয়ন ও বিকাশে আগ্রহী।’ নাওকি আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে  দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্ধু-প্রতিম রাষ্ট্রদূটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব উন্নয়নের উপায় খুঁজে বের করতে একসাথে কাজ করতে পারে।
নাওকি বলেন, ‘বর্তমানে অর্থনীতির মূল চালিকা-শক্তি অবশ্যই আইসিটি এবং জাইকা এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানব-সম্পদ উন্নয়ন, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যানকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।’  
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জাপানের সহযোগিতায় স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠা, ইনফরমেশন শেয়ারিংয়ের লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, হাইটেক পার্কের অধীন জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাপানি টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্য¬ান্ট, জাপানি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার  টেকনোলজি, এটুআই পরিচালনায় ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা,বাংলাদেশ-জাপান ডিজিটাল সামিট ব্যবস্থা করাসহ বাংলাদেশের আইটি খাতে উন্নয়ন ও বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করেন। স্মার্ট সিটি উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করে পলক প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মসূচি ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে অর্থাৎ গ্রামীণ মানুষের কাছে আধুনিক নগর জীবনের সব ধরনের সুবিধা পৌঁছে দিতে জাপানের সহযোগিতা ও সাহায্য কামনা করেন।  
জাপান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অটোমোবাইল ও অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে সহায়তা করতে পারে উল্লেখ করে পলক আরো বলেন, ‘শুধু স্মার্ট সিটি উন্নয়নের জন্যই নয়, অধিকন্তু সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট কান্ট্রিতে রূপান্তর করতে আমরা জাপানের সহযোগিতা চাইছি।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী তার প্রেজেন্টেশনে বলেন, শিল্প বিপ্লব ৪ ও সামাজিক ৫ অনুসারে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয়-শিল্প-উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধাসমূহ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘শিল্প-বিপ্লব ৪.০ ও সোসাইটি ৫.০ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিশেষত্ব পূরণের জন্য বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আমরা ইতোমধ্যেই ইআরডি’র কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’  
পলক ৩৯টি হাই-টেক/আইটি পার্কের মধ্যে ইতিমধ্যে  নির্মিত ৭টি হাই-টেক/আইটি পার্কে জাপানি আইটি কোম্পানিদেরকে বিনিয়োগের জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। কারণ সরকার সেখানে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। 
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আইসিটি সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণো কুমার ঘোষ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

চীনা মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের হাঁটাহাঁটি

নাঙ্গলকোটে ৫শ’ কৃষকের মাঝে সার-বীজ বিতরণ