ভিতরে

ইকার্দির হ্যাটট্রিকে ফরাসি কাপের সেমিফাইনালে পিএসজি

আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দির হ্যাটট্রিকে এ্যাঞ্জার্সকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফরাসি কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পিএসজি।
কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে ১০ জনের লিঁওকে ২-০ গোলে পরাজিত করে পিএসজির সাথে শেষ চারে উঠেছে মোনাকো। এই জয়ের ফলে পিএসজি ও মোনাকো উভয় দলই ঘরোয়া ডাবল জয়ের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। তবে কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোর অধীনে প্রথম মৌসুমেই পিএসজির সামনে সুযোগ আছে তিনটি শিরোপা জয়ের। লিগ ওযানে লিলির থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। হাতে রযেছে আরো পাঁচটি ম্যাচ। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। আগামী ২৮ এপ্রিল ফ্রান্সে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচের পর ৪ মে ইংল্যান্ডে খেলবে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ।
এর আগে মঙ্গলবার আরো দুই কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচগুলোতে চতুর্থ বিভাগের রুমিলি ভ্যালিয়ার্স ২-০ গোলে দ্বিতীয় টায়ারের তলুসোকে এবং মন্টিপিলিয়ার ২-১ গোলে কানেট রুসিলনকে পরাজিত করে শেষ চার নিশ্চিত করেছে।
পার্ক ডি প্রিন্সেসে ম্যাচের শুরুর পর শেষের দিকে আরো দুই গোল করেছেন ইকার্দি। ম্যাচে এ্যাঞ্জাার্স ডিফেন্ডার ভিনসেন্টর ম্যানকেউর আত্মঘাতি গোলের সাথে নেইমারের সহজ হেডে সফরকারীরা বিধ্বস্ত হয়।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এ পর্যন্ত ছয়বার ফরাসি কাপের ফাইনালে খেলে পাঁচবারই শিরোপা জয় করেছে।
ম্যাচর ৯ মিনিটে জুলিয়ান ড্রাক্সলারের নিখুঁত একটি থ্রু বলে ইকার্দি গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। ২৩ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে নেইমারের শট গোলরক্ষক লুভোভিড বুয়েটেলের গায়ে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে ম্যানকেউ আত্মঘাতি গোলে পিএসজির ব্যবধান বাড়াতে সহায়তা করেন।
বিরতির পর ৬৫ মিনিটে নেইমারের হেডে ব্যবধান ৩-০’তে নিয়ে যায় স্বাগতিক পিএসজি। ৬৮ মিনিটে এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্রসে ইকার্দি নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ম্যাচের শেষ মিনিটে ইকার্দি আরো এক গোল করলে হ্যাটট্রিক পূরনের পাশাপাশি দলের বড় জয় নিশ্চিত হয়।
গ্রুপামা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ গোলশুন্য থাকার পরেও দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে উঠেনি স্বাগতিক লিঁও। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদেরই প্রাধান্য ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়। লিঁওর ম্যাক্সওয়েল করনেটের একটি গোল অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়। ৫১ মিনিটে আইভরি কোস্টের ডিফেন্ডার সিনেলে ডায়মন্ড দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠত্যাগ করলে ১০ জনের দলে পরিনত হয় লিঁও। এই ঘটনায় প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে উইসাম বেন ইয়েডার গোল করে মোনাকোকে এগিযে দেন। ৬১ মিনিটে বেন ইয়েডারের এসিস্টে কেভিন ভোলান্ড জোড়ালো স্ট্রাইকে ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে রেফারি স্টিফেনি ফ্রাপার্টের সাথে অশোভন আচরনের দায়ে লিঁও কোচ রুডি গার্সিয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
আগামী ১২ মে দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে মোমিনুলের সেঞ্চুরি

স্পেজিয়ার সাথে ড্র করেও সিরি-এ শিরোপার আরো কাছে ইন্টার