ভিতরে

আলকারাজকে হারিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে জকোভিচ, প্রতিপক্ষ রুড

 বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে সপ্তমবারের মত ফ্রেঞ্চ ওপেনে পুরুষ এককে  ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন নোভাক জকোভিচ। 
৩৬ বছর বয়সী জকোভিচ সেমিফাইনালে ৬-৩, ৫-৭, ৬-১, ৬-১ গেমে স্প্যানিশ তরুণ আলকারাজকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন। এর মাধ্যমে ৯৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে তৃতীয় রোলা গাঁরো ও রেকর্ড ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার পথে জকোভিচের সামনে এখন একমাত্র বাঁধা গত আসরের রানার্স-আপ কাসপার রুড। 
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রুড ৬-৩, ৬-৪, ৬-০ গেমে  তারকা আলেক্সান্দার জেভরেভকে  পরাজিত করে গত পাঁচ টুর্নামেন্টের তৃতীয় স্ল্যাম ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালে রাফায়েল নাদালের কাছে ফ্রান্সে ও এরপর ইউএস ওপেনে আলকারাজের কাছে ফাইনালে পরাজিত হয়েছিলেন চতুর্থ বাছাই নরওয়ের  রুড। এনিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন জেভরেভকে। ২৪ বছর বয়সী রুড গতকাল ছয়বার জেভরেভের বিরুদ্ধে ব্রেক পয়েন্ট অর্জন করেছেন। 
বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চতুর্ত স্থানে থাকা রুড এর আগে চারবারের মোকাবেলায় কখনই জকোভিচের বিপক্ষে কোন সেট জিততে পারেননি। যদিও এটাই তাদের কোন গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম দেখা। 
প্যারিসের ৩৩ ডিগ্রী তাপমাত্রার প্রচন্ড গরমে তৃতীয় সেটে আলকারাজ হঠাৎ করেই চোটে পড়েন। জকোভিচের তুলনায় ১৬ বছরের ছোট আলকারাজের ডান কাফ পেশীতে টান পড়লে কোর্টেই তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আর এই চোটেই জকোভিচের সামনে ক্যারিয়ারের ৩৩৪তম স্ল্যাম ফাইনালের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়। 
২০১৬ ও ২০২১ ফ্রেঞ্চ ওপেন বিজয়ী জকোভিচ বলেছেন, ‘কার্লোসের আজ ভাগ্য সহায় ছিলনা। তার বিষয়টি আমি অনুধাবন করতে পারছি। আশা করছি সুস্থ হয়ে সে দ্রুতই কোর্টে ফিরতে পারবে। চোট নিয়েও শেষ পর্যন্ত সে যে লড়াই করে গেছে সেজন্য তাকে শ্রদ্ধা। আমি তাকে ম্যাচ শেষে বলেছি বয়স এখনো কম আছে এবং আরো অনেকবারই ফাইনাল জেতার সুযোগ তার সামনে আসবে।’
জকোভিচ আরো বলেন, ‘দ্বিতীয় সেটে সে ভাল খেলেছে। আমি বুঝতে পারি ঐ সময় আমার আরো বেশী আগ্রাসী হওয়া উচিৎ। এরপর থেকে আমি খেলার গতি বাড়িয়ে দেই।’
এনিয়ে ২০ বছর বয়সী আলকারাজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হলেন জকোভিচ। প্রথম সেটে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যান জকোভিচ। অষ্টম ম্যাচে এসে আলকারাজ সেট পয়েন্ট রক্ষা করেন। কিন্তু নবম ম্যাচে আর শেষ রক্ষা হয়নি। 
দ্বিতীয় সেটে ৩-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার সময় জকোভিচ কব্জির ইনজুরিতে পড়ে মেডিকেল টাইম আউট নেন। আলাকারাজ এই সুযোগে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যান। এরপর জকোভিচ ম্যাচে ফিরে এসে ব্রেক পয়েন্ট অর্জণ করেন। দশম গেমে জকোভিচ তিনটি সেট পয়েন্ট রক্ষা করেন। কিন্তু ১২তম গেমে এসে আলকারাজ জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে টিকে থাকার ইঙ্গিত দেন। 
এরপরই চোটের কারনে পরের দুই সেটে আর দাঁড়াতে পারেননি আলকারাজ। ৬-১, ৬-১ গেমে পরাজিত হয়ে শেষ চার থেকে হতাশাজনক বিদায় নেন বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ইউসুফ

মেসির মিয়ামিতে যাবার বিষয়টি জানতেন নেইমার