ভিতরে

১০-১৫ দিনের মধ্যে বর্তমান বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা চলছে : নসরুল

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতির একটা সুরাহা করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আজ । তিনি তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘জ্বালানি সংকটের কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে লোডশেডিং বেড়েছে। বিদ্যুৎ খাতের পরিসর এখন বেড়েছে। আমি জানি পরিস্থিতি অসহনীয়।’ 
পরিস্থিতি কয়েক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করার পরও নসরুল হামিদ বলেন,  ‘আমরা আশা করছি,  আগামী দশ থেকে পনের দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কারণ এ পরিস্থিতি উত্তোরনের প্রচেষ্টা চলছে। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমি সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে কয়লা আনার চেষ্টা করছি ।’ নসরুল বলেন, তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে । প্রচন্ড এই তাপদাহের কারণেই বিদ্যুতের দ্রুত বেড়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যমান রিজার্ভ দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে প্রস্তুত ছিলাম। যদিও আমরা নির্ধারিত নিয়মে লোডশেডিংয়ে  যাচ্ছি না। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং আছে।’ 
বর্তমান বিদ্যুৎ ঘাটতিকে সাময়িক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভোক্তাদের সামনে বিদ্যুতের এই পরিস্থিতি আরো ভালো অবস্থানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’ নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং হচ্ছে। তবে, এই লোডশেডিং ধীরে ধীরে এই কমিয়ে আনা হচ্ছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকায়- খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত কয়লা সংগ্রহ করা হলেই অবিলম্বে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদন শুরুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি : তথ্যমন্ত্রী