ভিতরে

জ্ঞানের বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে জয়পুরহাট সরকারি গণগ্রন্থাগার

॥ শাহাদুল ইসলাম সাজু ॥
জয়পুরহাট, ২০ মে, ২০২৩ : জ্ঞানের বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে জয়পুরহাট জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান চর্চা ও আলোকিত সমাজ বিনির্মানে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় পাঠকের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সরকারি গণগ্রন্থাগারে।  
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. রোকনুজ্জামান জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারটি। জয়পুরহাট সরকারি কলেজের পশ্চিম পাশে শান্তিনগর এলাকায় ৩৩ শতাংশ জমিতে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে নির্মাণ করা হয় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ভবনটি। আলোকবর্তিকাবাহী বই পাঠে সর্বসাধারণকে অবিরাম উদ্বুদ্ধ করা ও বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলা জয়পুরহাট জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে গত দুই বছরে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাত থেকে নতুন করে ২ হাজার ৫ শ বই সংগ্রহ করা হয়েছে। পাঠক সংখ্যা ও পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি কার্যক্রম জোরদারকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিভিন্ন জাতীয় দিবস ভিত্তিক রচনা, বই পাঠ, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, কুইজ, হাতের সুন্দর লেখা ও গল্প বলা প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে বই, ক্রেস্টসহ সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। গত দুইবছরে ৬২ হাজার ৫শ জনসহ এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার পাঠককে পাঠ সেবা এবং তথ্য ও রেফারেন্স সেবা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও ডিজিটাল মেলা, তথ্যমেলা, পুস্তক প্রদর্শনী, মুজিববর্ষ ও বঙ্গবন্ধু বইমেলাসহ  বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহন, প্রচারপত্র বিতরণ, পাঠক সমাবেশ ও স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের কাছে জয়পুরহাট জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানান, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. রোকনুজ্জামান। বর্তমান সরকার ঘোষিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসও জাকজমকভাবে উদযাপন করা হয় বলেও জানান তিনি।
জয়পুরহাট জেলা গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক হুমায়ন কবির, সুনিতা রাণী ও সাগর হোসেন জানান, নিয়মিত প্রকাশিত নিউজ পেপারসহ নামী দামী লেখকদের বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে এই সরকারি গণগ্রন্থাগার। চাকরী প্রার্থী ছাড়াও সরকারি কলেজ সংলগ্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত এই লাইব্রেরির সুবিধা পাচ্ছে বলেও জানান তারা। বর্তমানে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পুস্তকের সংখ্যা হচ্ছে বাংলা ৩৩ হাজার ৩২৮টি, ইংরেজি ২ হাজার ৩৭৮টি অন্যান্য ১৯৩টি। এ ছাড়াও  বাংলা ও ইংরেজি মিলে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিকসহ  ১৮টি কাগজ নিয়মিত পাঠকরা পড়ে  থাকেন।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার সূত্রে আরও জানা যায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রকাশিত আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক দুটি দুর্লভ বই এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত চিত্রকলা, আর্ট ক্যাটালগ, ফোলিও  ইত্যাদি বিষয়ক ২৩৭টি শিরোনামে ৫৭০টি পুস্তক জয়পুরহাট সরকারি গণগ্রন্থাগারে সংযোজিত ও পাঠ কক্ষে প্রদর্শিত হয়েছে।এ
ছাড়াও জরিপসহ জেলায় ৯৫টি বেসরকারি গণগ্রন্থারের তালিকাভুক্ত করণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নেও নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান  রোকনুজ্জামান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

যুব প্রজন্মের স্বপ্নপূরণের আলোকবর্তিকা এখন মেহেরপুর টিটিসি

কুমিল্লায় বায়োফক্স পদ্ধতি চাষ হচ্ছে দেশী কৈ ও টেংরা মাছ