ভিতরে

পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধই ৭ মার্চের শপথ : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

 তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ মার্চের শপথ।
তিনি বলেন, ‘দু:খের বিষয় হচ্ছে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে। আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ মার্চের শপথ।’
ড. হাছান মাহমুদ আজ সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তাঁর কালজয়ী ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন-‘তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো, শত্রু বাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে।’তার এই ভাষণে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।’
‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলোর অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তাঁর এই ভাষণের মধ্য দিয়ে সেটি আরো পরিস্ফুটিত হয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেওয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল- চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তনের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত

স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর : ওবায়দুল কাদের