ভিতরে

বুন্দেসলিগা: মুসিয়ালার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে লেভারকুজেনকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

তরুণ এ্যাটাকার জামাল মুসিয়ালার অসাধারণ নৈপুন্যে  শুক্রবার বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভারকুজেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। 
আন্তর্জাতিক বিরতির পর কাল থেকে আবারো মাঠে গড়িয়েছে জার্মান লিগ। ঘরের মাঠ আলিয়াঁজ এরেনাতে ১৯ বছর বয়সী মুসিয়ালা নিজে এক গোল করেছেন, সতীর্থদের আরো দুই গোলের যোগান দিয়েছেন। ৮১ মিনিটে বদলী বেঞ্চে যাবার আগে তাই স্বাগতিক সমর্থকরা তাদের ভবিষ্যত তারকাকে অভিবাদন জানাতে ভুল করেননি। মুসিয়ালা ছাড়াও কাল স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন সাদিও মানে, লেরয় সানে ও থমাস মুলার। পাঁচ ম্যাচে এটি মানের প্রথম গোল। 
কাল ম্যাচ শেষে মুসিয়ালাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল এই জয়ে ম্যানেজার জুলিয়ান নাগলসম্যানের উপর থেকে চাপ কিছুটা হলেও কমলো কিনা, তার উত্তরে জার্মান এ্যাটাকার বলেছেন, ‘চাপ আমাদের সবাই ওপরেই আছে। আমরা সবাই নিজ নিজ খেলায়  মনোযোগী হচ্ছি। আমরা সবাই জিততে চাই এবং নাম্বার ওয়ান হতে চাই, যা আমরা আজ করে দেখিয়েছি। বায়ার্নের উপর সবসময়ই চাপ থাকে। আমাদের প্রয়োজন তার সাথে মানিয়ে নেয়া।’
এর আগে লিগে টানা চার ম্যাচে জয়বিহীন ছিল বায়ার্ন। কাল শুরু থেকেই আক্রমনের ধার বাড়াতে থাকে বেভারিয়ান্সরা। তারই ধারাবাহিকতায় ২ মিনিটে মুসিয়ালার লো ক্রসে লেরয় সানে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। ১৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মুসিয়ালা। এনিয়ে মৌসুমে তিনি পাঁচ গোল করলেন। ৩৯ মিনিটে আবারো গোলের যোগান দিয়েছেন মুসিয়ালা। এবার তার এ্যাসিস্টে বল জালে পাঠান সানে। ২১ আগস্ট বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের সর্বশেষ জয়ের ম্যাচে গোল করার পর এটি ছিল মানের প্রথম গোল। ৮৪ মিনিটে মুলার দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। এই গোলটিতে অবশ্য লেভারকুজেন গোলরক্ষক লুকাস হ্রাদেকির ভুলই দায়ী। একটি বল পাস দিতে গিয়ে তিনি পড়ে গেলে মুলার তা কেড়ে নিয়ে জালে জড়ান। এবারের মৌসুমে এটাই বায়ার্ন ও জার্মান ফরোয়ার্ডের প্রথম গোল। 
ম্যাচ শেষে বায়ার্ন কোচ নাগলসম্যান বলেছেন, ‘দল ও ম্যানেজারের সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা লেখা হয়ে গেছে। আমি সবসময়ই বলি খেলোয়াড়রা যদি ম্যানেজারকে শ্রদ্ধাই না করবে তবে তারা ড্রেসিং রুম ছেড়ে চলে যাবে। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা কিন্তু খেলোয়াড়দের উন্নতি দেখছি। আজ আমি তাদের পারফরমেন্সে সত্যিই সন্তুস্ট। 
এবারের মৌসুমে লেভারকুজেনের দূর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছে না। এ পর্যন্ত আট ম্যাচে তারা মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে জার্মান কাপে তৃতীয় টায়ারের দল এসভি এলভার্সবার্গের বিপক্ষে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়াটা ছিল অত্যন্ত  হতাশার। এনিয়ে এবারের মৌসুমে তারা ১৬ গোল হজম করলো, বুন্দেসলিগায় যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর এসবই সুইস ম্যানেজার জেরারডো সিওনেকে চাপে ফেলেছে। কাল ম্যাচে শেষে সিওনে বলেছেন, ‘আমরা যথাযথ ভাবে আগ্রাসন দেখাতে পারছি না। এটাই এখন মূল সমস্যা। এছাড়া মানসিক চাপও একটি বড় বিষয়।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বাংলাদেশ ও মেক্সিকো সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বোলসোনারোর পক্ষ নেয়ায় তোপের মুখে নেইমার