ভিতরে

কুমিল্লায় রং তুলির আচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমা

 হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। করোনোকালে দুই বছর সীমিত করা হলেও কুমিল্লায় এবার উদযাপনে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের রং তুলির কাজ, দম ফেলার সুযোগ নেই প্রতিমা তৈরির কারিগরদের। প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুত প্রশাসনও।
জানা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে কুমিল্লায় বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। তাদের নিপুণ হাতে মাটির কাজ শেষে মন্ডপগুলোতে চলছে রং তুলির কাজ। রাত দিন একত্রে চলছে কর্মযজ্ঞ। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ করার আশা শিল্পী ও কারিগরদের।
শাস্ত্রমতে, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী এ চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে এবার হাতির পিঠে চড়ে বাবার বাড়ি মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা, আর কৈলাশে ফিরে যাবেন নৌকাতে। দুর্গতিনাশিনীর আগমনে কাশবন ও আকাশ সেজেছে নতুন রূপে। সব ধরনের অপশক্তি দূর হয়ে পৃথিবীজুড়ে বইবে শান্তির বাতাস, এমন প্রত্যাশা সবার। প্রতিমা কারিগর শুভ্রত পাল বাসসকে বলেন, ৬টি মন্ডপের কাজ হাতে নিয়েছি। দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি, পূজার আগেই সব প্রতিমা রং করা শেষ করতে হবে।
কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাশ টিটু বাসসকে বলেন, এ বছর উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে সকল রকমমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। 
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, দুর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের বন্দীরা পান করছেন সুপেয় পানি

জয়পুরহাটে সড়ক দুূর্ঘটনা দাদা-নাতি নিহত