ভিতরে

রিয়াদের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪০৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ

ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি হাকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দারুন ভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার স্মরনীয় এই সেঞ্চুরিতে ভর করে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাবার আগে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারি বাংলাদেশ। সফরের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জিম্বাবুয়ের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে।
বিরতিতে  যাওয়ার আগে  রিয়াদ ২১৫ বলে ১১২ রানে ব্যাট করছিলেন। ১১বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাকিয়ে ওই সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছেন দলের ওই সিনিয়র ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে ৫২ রানে অপরাজিত আছে তাসকিন আহমেদ। এটি তাসকিনের প্রথম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে অবশ্য প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি হাকিয়েছেন তিনি। 
নবম উইকেটে জুটিবদ্ধ হয়ে তাসকিন ও রিয়াদ সংগ্রহ করেছেন ১৩৪ রান। ৮ উইকেটে ২৯৪ রানের পুঁজি নিয়ে দিনের সুচনা করেছিলেন এই জুটি। বেশ সাবলিল ব্যাটিংয়ে মাধ্যমে এই দুই টাইগার সদস্য জিম্বাবুয়ের বোলারদের একেবারেই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন।
ব্যক্তিগত ৫৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে দিনের ব্যাটিং শুরু করেছিলেন রিয়াদ। অফ স্পিনার রয় কাইয়ার বলে পরপর বাউন্ডারি হিকেয়ে সেঞ্চুরি পুরণ করেন তিনি। ১৯৫তম বলটি কভার-পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে মাঠ ছাড়া করে সেঞ্চুর পুর্ন করেন রিয়াদ।  
পরের ওভারেই তাসকিন আহমেদ পেসার রিচার্ড এনগারাভার বল মিড অন অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে একটি মাত্র রান সংগ্রহের মাধ্যমে পুর্ন করেন প্রথম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। এজন্য ৬৯ বলের মোকাবেলা করেছেন তিনি। 
নিজ নিজে মাইলফলকে পৌঁছানোর পর দুই ব্যাটসম্যানকে আরো বেশী প্রত্যয়ী মনে হয়েছে এবং জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে দাপট অব্যাহত রাখেন তারা। 
স্বাগতিক দলের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলঅর  মুজারাবানি। তিনি ৭৭ রানে তিন উইকেট দখল করেছেন। এছাড়া সতীর্থ ভিক্টর নিয়াউচি ও ডোনালস ট্রিপানো দুটি করে উইকেট দখল করেন। 
এর আগে উদ্বোধনী দিনের শুরুতে মাত্র ৮ রানে দুই উইকেট হারানো এবং ৬৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর সফরকারি বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন যথাক্রমে লিটন দাস ও অধিনায়ক মোমিনুল হক। পরে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে। এতে ১০৯ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে সংকটের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল টাইাররা।      
জিম্বাবুয়ের একক আধিপত্যে খর্ব করে স্বাগতিকদের প্রথম ধাক্কাটি দেন অধিনায়ক মুমিনুল। ৯২ বলে ৭০ রান সংগ্রহ করেন তিনি। পরে ১৪৭ বলে ৯৫ রান করে টাইগার দলকে আরেক দফা এগিয়ে দেন লিটন দাস।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ইউরোর ফাইনাল বড় স্ক্রিনে দেখানোর আশা করছেন রোম মেয়র

জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো ওয়ানডে ও টি-২০ দল