ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বেড়েছে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৩৬ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৬ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৪৫ জন ও এগারো উপজেলার ৯১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফটিকছড়িতে ২২ জন,  হাটহাজারীতে ২১ জন, সীতাকু-ে ১৮ জন, মিরসরাইয়ে ১৫ জন, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও আনোয়ারায় ৩ জন করে, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং সাতকানিয়া ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৪ হাজার ৫০৪ জন ও গ্রামের ১২ হাজার ১২৯ জন।
গতকাল করোনায় শহরের একজন ও গ্রামের দু’জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬৬৫ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৬৪ জন ও গ্রামের ২০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৬৯ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৭৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৩২৯ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪২ হাজার ৪৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৫১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৩৮ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল তিন জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মাসের প্রথম ২২ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৩ জনে পৌঁছেছে। এ নিয়ে এ মাসে ৩ জন করে মারা যান ছয়দিন। মাসের সর্বোচ্চ ৪ জন করে মারা যান দুই দিন, ১৭ ও ২০ জুন। মৃত্যুশূন্য ছিল তিনদিন। এদিকে, গতকাল চলতি জুন মাসের একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৩৬ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। আগের দিন ২২৬ জন পজিটিভ হন। তবে সংক্রমণ হার সবচেয়ে বেশি ছিল ১৩ জুন, ২৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এদিন করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু হয়। একদিনে সবচেয়ে কম ৬ জুন ৬০ জন শনাক্ত হয়। মাসের সর্বনি¤œ ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১২ জুন। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৯ জন ও গ্রামের ২৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২০ জন ও গ্রামের ৪৩ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২৪ ও গ্রামের ৮ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩১ জনের নমুনায় গ্রামের ৪ জনসহ ১৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ৫ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৭২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৪ টিসহ ১৪ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১৪ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ২৫ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২ টি নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এদিন চট্টগ্রামের ৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ  আসে। তবে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মেডিকেল সেন্টার ও এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, চবিতে ৩৮ দশমিক ৬৫, সিভাসু’তে ২৩ দশমিক ৮৮, চমেকে ৪৮ দশমিক ৩৯, আরটিআরএলে ২৯ দশমিক ৬৩, শেভরনে ৮ দশমিক ১৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১ দশমিক ৯৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৭৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কোভিড-১৯ এ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৮৫ জন, শনাক্তের হার ২০.২৭

এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ২৭ জুন