ভিতরে

হার্নান্দেজের ইনজুরি টাইমের গোলে ইকুয়েডরকে রুখে দিল ভেনেজুয়েলা

ইনজুরি টাইমে রোনাল্ড হার্নান্দেজের সমতাসুচক গোলের সুবাদে কোপা আমেরিকায় রোববার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে ভেনেজুয়েলা। 
রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল ইকুয়েডর। গোল দুটি করেছিলেন অ্যারিটন প্রেসিয়াদো ও গঞ্জালো প্লাতা। তবে অসাধারণ জোড়ালো হেডের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার হয়ে অপর গোলটি পরিশোধ করেন এডসন ক্যাসিলো। 
ইনজুরি ও কোভিড-১৯ সংক্রমনের কারণে ১২ জন খেলোয়াড়কে স্কোয়াডের বাইরে রেখে আসা ভেনেজুয়েলার জন্য এটি ছিল উল্লেখ করার মত একটি অর্জন। কোচ হোসে পেসেরিও বলেন, ‘এই ছেলেদের প্রশংসা করার মত শব্দ আমার কাছে নেই। প্রথম বারের মত তারা পেশাদার দলে খেলছে। তারা এখানে ত্যাগের , লড়াইর ও জার্সির সম্মান রাখার দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। যার দ্বারা আমি দারুন রমঞ্চিত।’ 
এই ফলাফলে এক পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর অবস্থান করছে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। এক ম্যাচ বেশী খেলে তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশী সংগ্রহ করেছে ভেনেজুয়েলা। গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে স্বাগতিক ব্রাজিল। দুই ম্যাচের দুটিতেই জয়লাভ করেছে তিতের শিষ্যরা। ফলে কলম্বিয়ার চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল। আর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা কলম্বিয়া ২-১ গোলে হেরে গেছে তালিকার তৃতীয় স্থানধারী পেরুর কাছে।
রিওর মাঠে বেশ দারুন ভাবে সুচনা করেছিল ইকুয়েডর। এ সময় লিওনার্দো ক্যাম্পেনা ও ইনার ভালেন্সিয়ার অসাধারন দুটি শট বারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেছে। ম্যাচে ভেনেজুয়েলার শিবিরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন ক্রিস্টিয়ান সিজার্স। কিন্তু মাত্র ১২ গজ দূর থেকে পাওয়া সেরা সুযোগটিই হাতছাড়া করেছেন তিনি। 
অবশ্য গোল খরা দূর করতে বিরতিতে যাবার ছয় মিনিট আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ইকুয়েডরকে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে গোল করে ইকুয়েডরকে এগিয়ে দেন প্রেসিয়াদো। পেরভাইস এস্টুপিনানের ফ্রি কিকের বল বক্সে পেয়ে কমপানা ভাসিয়ে দিলে সেটিকে জালে জড়ান প্রেসিয়াদো। 
বিরিত থেকে ফেরার ৬ মিনিটের মধ্যেই গোলটি পরিশোধ করে দেয় ভেনেজুয়েলা। নজরদারীর বাইরে থাকা ক্যাসিলো আনুমানিক আট গজ দূর থেকে শটে বল জালে জড়িয়ে দিলে ১-১ গোলের সমতায় ফিরে ম্যাচটি। 
তবে ৭১ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। পালেতা বল নিয়ে মাঠের এক প্রান্ত থেকে ছুটে যান অপর প্রান্তে। তবে ক্লান্ত ওই তারকার প্রচেস্টা প্রতিহত করেন ফ্যারিনেজ। কিন্তু ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন পালেতা। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত মিনিটে ক্যাসিলোর দূরপাল্লার পাসের বল বক্সে পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন রোনাল্ড হার্নান্দেজ। এটি ছিল তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। 
ম্যাচ শেষে ইকুয়েডরের কোচ গুস্তাভো আলপারো বলেন, ‘মনোযোগের ঘটাতির কারণে আমাদেরকে পয়েন্ট খোয়াতে হল। তবে আমরা এখনো সঠিক পথেই আছি।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ফাইনালে পাঁচ উইকেট শিকারে খুশি জেমিসন

১ রানে রোমাঞ্চকর জয় আবাহনীর