ভিতরে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বিপরীতে ডিএমপি’র বক্তব্য

সুত্রঃ ডিএমপি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধ করতে চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ প্রসঙ্গে গত ১২ এপ্রিল ২০২১ খ্রিঃ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল ২০২১ খ্রিঃ ভোর ০৬.০০ টা হতে ২১ এপ্রিল ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে শুরু থেকেই সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মাঠে রয়েছে পুলিশ। করোনার বিস্তার রোধে একদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মানিত নাগরিকগণের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে চলেছেন পুলিশের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরী পরিসেবাসহ জরুরী ও অত্যাবশকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অতি জরুরী প্রয়োজনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত বিনা কারণে বা উপযুক্ত পাস ব্যতীত কোন ব্যক্তি যাতে রাস্তায় বের হতে না পারেন তা নিশ্চিত কল্পে ২৪ ঘন্টা ডিএমপি’র সদস্যগণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছেন। ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের কাজ অনেকটা সফলতার সাথেই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। যদিও বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পরিসেবায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা কষ্টকর কাজ। কেননা কিছু কিছু ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গাড়ী নিয়ে বের হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে পুলিশকে সারাদিনই গলদঘর্ম হতে হয়েছে । কিছু মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গ পুলিশের চেকপোষ্টে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। বর্ণিত ঘটনার একটিতে দেখা যায়, কাওরান বাজারে পুলিশ একটি প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাড়ীটি জনৈক চিকিৎসকের বলে বর্ণনা দেন। কিন্তু চিকিৎসক গাড়ীতে উপস্থিত ছিলেন না। ড্রাইভার উক্ত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু গাড়ীর কাগজপত্রে বর্ণিত গাড়ীর মালিকের সাথে বর্ণিত চিকিৎসকের সামঞ্জস্য না থাকায় ড্রাইভারের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর গেট এলাকার এক ঘটনায় সম্মানিত একজন নাগরিক নিজ বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বের হলে কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণীসহ বেশ কয়েকটি চেকপোষ্টের মুখোমুখি হন। এতে স্বভাবতই হাসপাতালে পৌঁছাতে তার দেরি হচ্ছিল। জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন চেকপোষ্টে তিনি ৩০ সেকেন্ডের মত আটকে ছিলেন বলে জানান। যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকেই যাচাই বাছাই করা হয়েছে যেটি চলমান বিধি নিষেধের প্রেক্ষিতে যৌক্তিক একটি বিষয়। কোভিড মহামারীর সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে চলা সকল নাগরিকের সমান দায়িত্ব। এ সমস্ত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে ডিএমপি অংগীকারাবদ্ধ। কোন পুলিশ সদস্য যাতে কোন অপেশাদার আচরণ না করেন, সে জন্য সর্বদা তাদের আচার আচরণ মনিটর করা হয়ে থাকে এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে তাদের উদ্বুদ্ধ করা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ চলমান আছে। পুলিশের কাজে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে। কোন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

শংকরবাটী বিলে গোসল করতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ।

করোনায় একদিনে মৃত্যু ১০১ জন