ভিতরে

এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে ফ্রেঞ্চ ওপেন

ফ্রান্সে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চলতি বছরের ফেঞ্চ ওপেন টেনিস এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আয়োজক কমিটি। পিছিয়ে যাবার আরো একটি কারন হলো সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। সবকিছু পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশন (এফএফটি) জানিয়েছে গত মাসে ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাকরন পর্যায়ক্রমে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টগুলোতে আবারো প্রাণ ফিরিয়ে আনার ঘোষনা দিয়েছিলেন । মধ্য মে থেকেই তিনি সর্বত্র সকলের উপস্থিতি নিশ্চিতের বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন। যদিও সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির উন্নতির উপর নির্ভর করছে।
এফএফটি সভাপতি গিলস মরটন বলেছেন এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেলে তাতে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি আরো কিছুটা উন্নতির সুযোগ থাকবে। আর এর মাধ্যমে রোলা গাঁরোতে আমরা দর্শকদের ভালভাবেই স্বাগত জানাতে পারবো। মরটন বলেন, ‘দর্শক, খেলোয়াড় ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় টুর্নামেন্টের জন্য দর্শকদের উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
নতুন তারিখ অনুযায়ী এক সপ্তাহ পিছিয়ে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৪-২৮ মে। মূল প্রতিযোগিতা শুরু চলবি ৩০ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত।
এদিকে ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর পরবর্তী গ্র্যান্ড স্ল্যাম উইম্বলডন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই ধরনের সিদ্ধান্ত ২৮ জুন থেকে শুরু হওয়া তাদের আসরে কোন প্রভাব ফেলবে না।
গ্র্যান্ড স্ল্যাম বোর্ডের নির্বাহি পরিচালক উগো ভ্যালেন্সি বলেছেন, ‘সারা বিশে^র জন্য এটা একটি চ্যালেঞ্জিং সময়। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় একটি বিষয় অন্তত নিশ্চিত যে মহামারী আমাদের ছেড়ে সহসাই যাচ্ছেনা। আমাদের জন্য এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম আয়োজন যেকোন দেশের জন্যই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। এ কারনেই আমরাও চাই তারা যেকোন মূল্যেই এই আয়োজনটি সফলভাবে সম্পন্ন করুক। এজন্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’
এফএফটির এই সিদ্ধান্ত এটিপি ও ডব্লিউটিএ’র সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে। এক যৌথ বিবুতিতে এটিপি ও ডব্লিইটিএ জানিয়েছে, ‘মহামরাী মোকাবেলায় গত ১২ মাস ধরে টেনিস ক্যালেন্ডারে যে বিপত্তি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠাই এখন আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

শুভাগত ও তিন নতুন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ দল

যুক্তরাজ্যের ক্রীড়ায় প্রিন্স ফিলিপের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন