ভিতরে

প্রিমিয়ার লিগ: পরিবর্তিত দল নিয়ে দারুন এক জয়ে সিটির শীর্ষস্থান মজবুত

অনেকটা পরিবর্তিত দল নিয়ে শনিবার ফুলহ্যামের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১৭ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছনে ফেলেছে পেপ গার্দিওলার দল।
ফুলহ্যামের ক্রাভেন কটেজে ম্যাচের তিনটি গোলই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে। জন স্টোনস, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও সার্জিও এগুয়েরোর গোলের সিটির দাপুটে জয় নিশ্চিত হয়। শেষ আট ম্যাচে সিটি কমপক্ষে ১৪ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারলেই চার বছওে তৃতীয় লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘মৌসুমের এই সময়টা বেশ ভাল যাচ্ছে। এই জয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ন ছিল। আমরা শিরোপার আরো কছে চলে এসেছি।’
এবারের মৌসুমে ঐতিহাসিক চার শিরোপা জয়ের পথে এখনো ভালভাবেই টিকে রয়েছে সিটিজেনরা। মঙ্গলবার বুদাপেস্টে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে তারা বরুসিয়া মনচনগ্ল্যাডবাখের মোকাবেলা করবে। যে কারনে কাল সাতটি পরিবর্তন করে দল সাজিয়েছিলেন গার্দিওলা। কেভিন ডি ব্রুইনা, ইকে গুনডোগনা, রিয়াদ মাহারেজ পুরো ৯০ মিনিটই বদলী বেঞ্চে ছিলেন।
গার্দিওলা বলেন, ‘খেলোয়াড় রোটেশনের মাধমে বুদাপেস্টে আমি পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে চাই। অনেকসময় খেলোয়াড়রা আমাকে বিশ^াস করে না। আমি চাই সবাইকে মাঠে নামাতে। অনেক সময় এই সিদ্ধান্ত কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু দলীয় জয়ে প্রত্যেকেরই অবদান থাকা উচিত। সম্ভাব্য সেরা লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছি।’
গত সপ্তাহে লিভারপুলের বিপক্ষে দুর্দান্ত ১-০ গোলের জয়ে ফুলহ্যাম রেলিগেশন থেকে নিজেদের রক্ষা করার পথে ভালভাবেই টিকে রয়েছে। কালও প্রথম ৪৫ মিনিটে সিটিকে আটকে দিয়ে আরো একটি দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ইঙ্গিত দিচ্ছিল স্কট পার্কারের দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সবকিছু ওলট পালট করে দিয়েছে সিটিজেনরা। পার্কার বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বাজে গোল হজম করেছি। প্রথমটি সেট পিস থেকে হলেও একেবারেই সহজ ছিল। বাকি দুটি হয়েছে আমাদেও ভুলে।’
হুয়াও ক্যান্সেলোর ফ্রি-কিকে সহজ ফিনিশিংয়ে ৪৭ মিনিটে স্টোনস সিটিকে এগিয়ে দেন। ৫৬ মিনিটে আলফোনসে আরেয়োলাকে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল প্রবেশ করাতে কোন ভুল করেননি জেসুস। ইনজুরি ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কারনে এবারের মৌসুমে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এগুয়েরো। সিটির সর্বকালের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা গত বছরের জানুয়ারি থেকে কোন গোল পাননি। তবে ফেরান টোরেসের আদায় করা পেনাল্টি থেকে ৬০ মিনিটে এক বছর পর বহুল কাঙ্খিত গোলের খাতায় নাম লেখান এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এবারের মৌসুমে স্পট কিক থেকে গোল করতে বেশ কয়েকবারই ব্যর্থ হয়েছে সিটি। কিন্তু পেনাল্টির দায়িত্ব পেয়ে কোন ভুল করেননি এগুয়েরো।
তিন গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বার্নান্ডো সিলভা ও রুবেন ডায়াসকে বদলী বেঞ্চে পাঠান গার্দিওলা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর টানা চতুর্থবারের মত শেষ আটে খেলা এখন সিটির কাছে সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

পিএসজির সাথে ২০২২ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করলেন ডি মারিয়া

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের গাড়িতে বিক্ষোভকারীদের হামলা