ভিতরে

ফিনান্সিয়াল সফটওয়্যার তৈরিতেও বাংলাদেশ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ এখন ফিনান্সিয়াল সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রেও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে।
আর্থিক নিরীক্ষা খাতে বিদ্যমান স্থবিরতা কাটিয়ে ফিনান্সিয়াল সফটওয়্যার খাত একটি সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি নিরীক্ষা কাজের জন্য টুলস তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মোস্তাফা জব্বার এ লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ সফল করতে আইসিটি সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শনিবার রাতে ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বাংলাদেশ’র (আইক্যাব) উদ্যোগে ‘ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট’ শীর্ষক এক ভার্চ্যূয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আইক্যাব’র সভাপতি এমএইচ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও আইক্যাব নেতা আলী আশফাকের সঞ্চালনায় প্রতষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে সফটওয়্যার সম্পৃক্ত পণ্য জিডিপিতে বড় অবদান রেখেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেধাসম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির শতকার ৩৭ ভাগ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ হয়ত ওরাকলের মতো বড় বড় সফটওয়্যার বানাতে পারে না কিন্তু সক্ষমতায় আমরা বহু দূর এগিয়ে। পৃথিবীর ৮০টি দেশে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রপ্তানি করছে।’
দেশের কম্পিউটার বিকাশের অগ্রদূত ও কম্পিউটারে বাংলার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে। ১৯৮৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত এদেশে কম্পিউটার ছিলো বিশেষ ব্যক্তি, পেশা ও বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারের যন্ত্রমাত্র। কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের পর এর প্রসার শুরু হয়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে যুগান্তকারি অবদান রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা বিস্ময়কর বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন,ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার। করোনাকালে এর প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করেছে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। করোনার আগে দেশে একহাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতে,া করোনাকালে তা ২১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। অথচ ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৮জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যাবহার হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ যা বর্তমানে ১১ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা, আইটি নির্ভর অডিট শিক্ষা কার্যক্রম সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব প্রদান করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

এদেশের নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

এবার স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন ৯ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠান