ভিতরে

গ্ল্যাডবাখকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে ম্যান সিটি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগের ম্যাচে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া মনচেনগ্ল্যাডবাখকে ২-০ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি।
বুদাপেস্টের পুসকাস এরিনাতে প্রথমার্ধে বার্নাডো সিলভার হেড ও দ্বিতীয়ার্ধে গাব্রিয়েল জেসুসের গোলে পেপ গার্দিওলার দলের জয় নিশ্চিত হয়। এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় উড়তে থাকা সিটিজেনরা জয়ের ধারা ১৯ ম্যাচে উন্নীত করলো।
রোববার আর্সেনালের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটি থেকে ছয়টি পরিবর্তন করে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন গার্দিওলা। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় ধরেই গ্লাডবাখের অর্ধে বলের পজিশন দখল করে খেলেছে সিটি। করোনার কারনে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞায় ম্যাচটি জার্মানী থেকে হাঙ্গেরীতে সরিয়ে নেয়া হয়।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য সুষ্পষ্ট ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। জার্মান ক্লাবটির দৃঢ় রক্ষনভাগের সামনে শুরুতে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি সিটি। তার উপর আলজেরিয়ান লেফট-ব্যাক রামি বেনসেবানি বেশ কয়েকবরাই সিটির কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে কাউন্টার এ্যাটাকে দলকে সহযোগিতা করেছেন।
এবারই প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে খেলতে নেমেছে গ্লাডবাখ। গার্দিওলার দলের বিপক্ষে শুরু থেকেই নিজেদের সাহসিকতা তাগিদ অনুভব করেছিলেন গ্লাডবাখ কোচ মার্কো রোস। ২০ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ফরাসি স্ট্রাইকার আলাহানে প্লি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ২৯ মিনিটে বাম দিক থেকে পর্তুগীজ ডিফেন্ডার হুয়াও ক্যান্সেলোর কার্লিং ক্রসে জাতীয় দলের সতীর্থ সিলভা খুব কাছে থেকে হেডের সাহায্যে গ্লাডবাখ গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে পরাস্ত করেন। পুরো ম্যাচে কাল নিজেকে দারুনভাবে প্রমান করেছেন ২৬ বছর বয়সী ক্যান্সেলো।
ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টকে সিলভা বলেছেন, ‘আমরা সহজভাবে ম্যাচটি খেলতে চেয়েছি, কোন ধরনের ভুল যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য ছিল। এটা আমাদের জন্য দারুন একটি জয়। কিন্তু এখনো সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি।’
গার্দিওলা বলেন, ‘প্রতিবারই সিলভা আমাদের দলের হয়ে একজন ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমান করে। আজকে তার দেয়া গোলটিও দারুন ছিল। দারুন ফিনিশিং মনে হয় এটাকেই বলে।’
বিরতির পাঁচ মিনিট আগে তার সুবাদে সিটিজেনরা ব্যবধান প্রায় দ্বিগুন করে ফেলেছিল। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে ক্যান্সেলোর শট অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেনসেবানির বাজে একটি ব্যাকপাসে জেসুস বল পেয়ে পোস্টে শট নিলেও কোনমতে তা রক্ষা করেন সুইস ডিফেন্ডার নিকো এলভেডি। প্লি’র একটি ব্যাকহিল শট সিটি গোলরক্ষক এডারসনকে পরাস্ত করলেও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। ৬৫ মিনিটে অবশ্য কোন ভুল করেননি জেসুস। ক্যান্সেলোর আরো একটি দুর্দান্ত ক্রসে আবারো বল পেয়ে যান সিলভা। এবার তার হেড গোলমুখে জেসুসের কাছে গেলে ঠান্ডা মাথায় তা জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান। এর ফলে ব্যবধান দ্বিগুন হবার পাশাপাশি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সিটির ১৯তম জয় নিশ্চিত হয়।
পুরো ম্যাচে গ্লাডবাখ গোলবারে মাত্র একটি শট নিতে সক্ষম হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ ম্যানচেস্টারে ফিরতি লেগের ম্যাচে স্বাগতিকদের পিছনে ফেলতে হলে গ্লাডবাখকে নি:সন্দেহে অবিশ^াস্য কিছু করে দেখাতে হবে।
ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গার্দিওলা বলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে হলে নিজেদের আরো কিছু জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। সিটি বস বলেন, ‘ম্যাচের নিয়ন্ত্রন আমাদের হাতে ছিল। দূর্ভাগ্যবশত: আক্রমনভাগে আমরা ততটা নিখুঁত ছিলাম না। এই প্রতিযোগিতায় এই জায়গাটিতে আমাদের আরো বেশী উন্নতি করতে হবে। বক্সের ভিতর আমরা যথেষ্ট শট নিতে পারিনি। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় নিজেদের এগিয়ে নিতে হলে সব জায়গায় সুনির্দিষ্টভাবে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’
গ্লাডবাখ কোচ রোস বলেছেন, ‘অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে আমাদের এই পরাজয়টা প্রাপ্য ছিল। এই ধরনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খুব একটা বেশী সুযোগ পাওয়া যায়না। সহজভাবে বলতে গেলে আমরা খুব একটা আক্রমন করতে পারিনি। একটি ভাল অবস্থানে থেকে ম্যাচ শেষ করতে হলে অবশ্যই গোলের প্রয়োজন ছিল।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

মেন্ডির একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

৪ রানে জিতে সিরিজে ডাবল লিড নিউজিল্যান্ডের