ভিতরে

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরমাণু চুক্তি অস্বীকার ইরানের

ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘একটি অন্তর্বর্তী পরমাণু চুক্তি দ্বারপ্রান্তে’ পৌঁছে গেছে এই সংক্রান্ত একটি মিডিয়ার দাবি অস্বীকার করে তেহরান বলেছে, এই ধরনের চুক্তির কোন অস্তিত্ব নেই। আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ‘তাসনিম’ শুক্রবার এই খবর দিয়েছে। খবর সিনহুয়ার।
তাসনিম পরিবেশিত খবরে বলা হয়, তেহরান ও ওয়াশিংটন একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। লন্ডন ভিত্তিক অনলাইন নিউজ আউটলেট মিডল ইস্ট আ’র এর এমন দাবির প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছে। বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর আরোপ করা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিনিময়ে তেহরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কমিয়ে আনবে।
ইরানি মিশনের দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) প্রতিস্থাপনের জন্য একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি বিদ্যমান যা এজেন্ডায় নেই।’
হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্রও প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করে বলেছেন, এটি ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’।
ইরান ২০১৫ সালের জুলাইয়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সাথে  জেসিপিওএ স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার বিনিময়ে তেহরান কিছু ক্ষেত্রে তাদের পরমাণু কমসূচি নিয়ন্ত্রণে সম্মত হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর ওয়াশিংটন নতুন করে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরফলে ইরানও এই চুক্তির আওতায় দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয়।
ভিয়েনায় ২০২১ সালের এপ্রিলে জেসিপিওএ ফের কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়।  ২০২২ সালের আগস্টে সর্বশেষ দফার আলোচনার পর এই ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি অর্জিত হয়নি।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ইউরোপে গ্যাসের দাম বাড়ছে

সিরিয়ার গমের ফলন ২০২৩ সালে ১০ লক্ষ টনে দাড়াবে : প্রধানমন্ত্রী