ভিতরে

বরগুনায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমছে

উপকূলীয় জেলা বরগুনায় বড় নদীর পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে পুকুর রয়েছে। বাড়ির লাগোয়া খাল-বিলও নেহায়েত কম নয়। তাই এ জেলায় এক সময়ে শিশু মৃত্যুর হার বেশি থাকলেও পর্যায়ক্রমে তা কমে আসছে বলে তথ্যসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হেলথ ও ইনজুরি সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুদের ক্ষেত্রে ০ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাই বেশি ঘটে। প্রতি বছর ১৪ হাজারের মতো শিশুর এভাবে মৃত্যু হয়। প্রতিদিন গড়ে ৪০ শিশু পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়। আর বরিশাল বিভাগের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ছিলো বরগুনায়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বরগুনায় ২০১৮ সালে ২৫, ২০১৯ সালে ৩৪, ২০২০ সালে ২৮, ২০২১ সালে ১৬, ২০২২ সালে ১০ ও ২০২৩ সালের চলতি মে মাস পর্যন্ত ৩ জনসহ গত ৬ বছরে (২০১৮ জানুয়ারি-২০২৩ মে)  পানিতে ডুবে মোট ১১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যুর হায় পর্যায়ক্রমে কমছে।
বরগুনা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, আমাদের দেশের অনেক পুকুর-ডোবা শিশুদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে আছে। তবে অভিভাবকদের সচেতনতা বেড়েছে। আবার সাঁতার শেখানো বা প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মীও তৈরি হয়েছে। কারণে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু কমছে।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, শহরের চেয়ে গ্রামে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হয় বেশি। অন্যতম কারণ হচ্ছে বরগুনার গ্রামগুলোতে অধিকাংশ পরিবারের বাড়ির উঠানের পাশে বড় বড় পুকুরসহ খাল-বিল রয়েছে।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুরোধে সাঁতার শেখানো প্রয়োজন। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন একা একা কোনো জলাধারের কাছে না যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে ১০টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা বলেছে তাদের নির্দেশিকায়। এগুলোর মধ্যে পুকুর-ডোবায় বেড়া দেওয়া এবং স্কুলগামী শিশুদের সাঁতার শেখানোর কথা বলা আছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

রাঙ্গামাটিতে অগ্নিকান্ডে ৪টি দোকান ভষ্মীভূত

শরীয়তপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত