ভিতরে

মেসিকে ছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে পিএসজিকে

প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এখন যেহেতু লিগ ওয়ানের শিরোপা ধরে রাখার কাজটি সম্পন্ন করেছে, সুতরাং এখন দল পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে ফরাসি রাজধানীর ক্লাবটিকে। কাতারি প্রকল্প নতুনভাবে গড়ার জন্য এখন বড় ধরনের রদবদলের প্রয়োজন হবে। 
এই নিয়ে ঘরোয়া লিগের ১১তম শিরোপা ঘরে তুলেছে পিএসজি। বিগত ১১ বছরের মধ্যে এটি ছিল তাদের নবম লিগ শিরোপা। শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করলেও ক্রিস্টোফ গাল্টিয়ারের দলটি ২০২৩ সালে ছয়টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। সেই হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লেন্স।
অধিনায়ক মারকুইনহোস সম্প্রতি বলেছেন,‘ এটি আমাদের সেরা মৌসুম নয়। তবে অবশ্যই ভালো একটি মৌসুম ছিল।’ দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল থেকে পিএসজির বিদায়ের ঘটনাটি হয়তো ফিকে হয়ে গেছে। কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখেও শুরুতে দুর্দান্ত খেলেছেন মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। অপরাজিত ছিল বিশ্বকাপের আগে।  
পরে বেশ কিছু নাটকীয়তা দেখা যায় পিএসজি শিবিরে। ইনজুরিতে পড়ে ফের মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। আর বিনা অনুমতিতে সৌদি আরব সফরের কারণে অনুশীলনে হাজির না হওয়ায় নিষিদ্ধ হন বিশ্বকাপ বিজয়ী লিওনেল মেসি। এতে ভারি হয়ে উঠে ক্লাবের পরিবেশ। অসন্তুষ্ট হয় ভক্তরা।
গত শুক্রবার কোচ গাল্টিয়ার বলেন,‘ কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের আগে আমাদের আমলে নিতে হবে বিশ্বকাপের আগের অবস্থা এবং বিশ্বকাপের পর খেলোয়াড়দের অবস্থা। তারপরও হাতাশার বিষয়টি আমি অনুধাবন করতে পেরেছি। এটি ছিল অদ্ভুত একটি মৌসুম।’      
 রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দিয়ে আরো তিন বছরের জন্য পিএসজিতে থেকে যাওয়া এমবাপ্পে এই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৪০ গোল করেছেন, এতে ক্লাবে থেকে যাওয়াটা তার সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হলেও ২৪ বছর বয়সি ওই ফরাসি তারকার ভবিষ্যৎ নিয়ে পুনরায় শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত থেকে যাওয়ার একটি শর্তে যদি তিনি সম্মত না হন তাহলে ২০২৪ সালেই শেষ হয়ে যাবে নতুন চুক্তির মেয়াদ। যাই হোক, এমবাপ্পেকে কেন্দ্র করে আরো ভালোভাবে দল পুনর্গঠন করতে হবে পিএসজিকে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া মেসি দল ছাড়বেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে। অপরদিকে বিবর্ণ ৩১ বছর বয়সি ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার। 
এখন সবার দৃস্টি পিএসজির পুর্তগীজ রিক্রুটমেন্ট লুইস কাম্পোসের দিকে। দলবদলের সময় তাকে চুক্তির আওতায় আনা যায় কিনা সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ উয়েফা ফেয়ার ফিন্যান্সিয়াল রুল অনুযায়ী বড় চুক্তির খেলোয়াড় নিয়ে একটি প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। 
সাত মৌসুমের মধ্যে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল থেকে ফিরতে হয়েছে পিএসজিকে। গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তেই যেন দলটি ছোট হয়ে যায়। গাল্টিয়ার বলেন,‘সব দলই নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে এগুতে চায়, কিন্তু শুধুমাত্র একটি দলই শেষ পর্যন্ত থাকতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করতে হলে অথবা জয়ের সুযোগ সৃস্টি করতে হলে আপনাকে ফেব্রুয়ারিও  মার্চের ফর্ম ধরে রাখতে হবে, যেটি আমাদের ছিল না।’
এদিকে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে গাল্টিয়ারের ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। শেষ পর্যন্ত তাকেও হয়তো পিএসজি ছাড়তে হবে। আর কোচ হিসেবে যোগ দেয়ার আলোচনায় এগিয়ে আছেন হোসে মরিনহো এবং লুইস এনরিখ।  

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

এশিয়া কাপে সবার অংশগ্রহন নিশ্চিত করা এসিসির দায়িত্ব : ইনজামাম

নেদারল্যান্ডসে বিক্ষোভকালে ১৫শরও বেশি পরিবেশ কর্মী গ্রেফতার