ভিতরে

সুষম সার ব্যবহারে ১৪ ভাগ ফলন বাড়ে ও সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা

ফসল উৎপাদনে জমিতে পরিমিত ও লাভজনক মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। 
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘সারনীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান গবেষকরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কাউন্সিল (বিএআরসি)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।  
এতে প্যানেল আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিফ) এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার এবং কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। 
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য পরিচালক  ড. মো. বক্তিয়ার হোসেন।
ওয়াহিদা আক্তার বলেন, সরকার ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইউরিয়ার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আবার ডিএপির ব্যবহারও বাড়ছে। এতে করে সারের অপচয় হচ্ছে এবং সার আমাদনির খরচও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, জমিতে এক কেজি ডিএপি সার ব্যবহার বাড়ালে ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া সার কম ব্যবহার করলে হয়। এক্ষেত্রে টিএসপি সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এ বার্তাটি মাঠ পর্যায়ে না পৌঁছানোর কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। 
তিনি আরো বলেন, এজন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে অঞ্চল ভিত্তিক সার সুপারিশমালা ব্যবহার করে ফসল আবাদে সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। সরকার পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারে গবেষণা ও ব্যবস্থাপনার উপর ‘নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ফর ডাইভারসিফাইড ক্রপিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল।
তিনি কাউন্সিলের সুপারিশসহ সুষম সার ব্যবহারে কৃষকরা কতটুকু সুফল পেতে পারে, তার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তাঁর উপস্থাপনায় উঠে আসে কৃষকরা সুষম সার ব্যবহার করলে বছরে ধান উৎপাদন বেশি হবে ৭৫ লাখ টন। সার্বিকভাবে বছরে লাভ হবে ২০ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

প্রতিভার জোরেই কাজ পেতে চাই : অঙ্কিতা

ইতালি, এমবাপ্পে, স্পেন, রোনাল্ডো : ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বে আলোচিত নাম