ভিতরে

বর্তমান সরকারের শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। 
গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রেতা ও ভোক্তার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের সক্ষমতা আরো বাড়িয়ে গ্রামেও ‘আয়কর জাল’ সম্প্রসারণ করতে হবে। 
তাজুল ইসলাম আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়কর বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়োজনে ‘আয়কর ব্যবস্থার ক্রম বিকাশ ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আয়করের ভূমিকা’ এবং ‘আয়কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২শ’ ৭৭ মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ৩শ’ ২৯ মার্কিন ডলার। ২১ বছরে মাথাপিছু আয় বাড়ে মাত্র ৫২ মার্কিন ডলার। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৮শ’ ২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে ২১২৪ ডলারের মাথাপিছু আয়ের পার্থক্যটা অভূতপূর্ব এবং অসাধারণ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির  অপার সম্ভাবনা রযেছে, কারণ আমাদের ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুবক, যারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেও ব্যাপক  ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হচ্ছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মো: তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি কর প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে অংশ গ্রহন করারও আহবান জানান।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে আয়কর প্রদান করতে পারে, সেজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে । আয়কর ব্যবস্থায় সমন্বিত ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তা আরো শক্তিশালী হবে।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে বারো হাজার মার্র্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সেক্টরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে একই ছাতার নীচে আনতে পেরেছেন বলেই মাত্র ১৪ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ১শ’ ২৪ মার্কিন ডলার বেড়ে এখন ২ হাজার ৮শ’ ২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’ 
এলজিআরডি মন্ত্রী উদাহরণ হিসাবে পকিস্তানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দেশটি আইএমএফ’র কাছে দু’বছর আগে ঋণের জন্য আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত ঋণ পায়নি। বাংলাদেশকে ৬ মাসে ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি জানান, ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই আয়কর ব্যবস্থা ব্যবসায়ী-বান্ধব হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আয়কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন,পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত সংযুক্ত করলে তা আয়কর ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই : খাদ্য মন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা আগামীকাল