ভিতরে

উল্ফসবার্গকে হারিয়ে ফের তালিকার শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ

টিন এজার জামাল মুসিয়ালার নজর কাড়া গোলে বিতর্কিত অ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক উল্ফসবার্গকে ৪-২ গোলে পরাজিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। রোববার অনুষ্ঠিত জার্মান ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগায় এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এটি ছিল ২০২৩ সালে লিগে বায়ার্নের প্রথম জয়। ম্যাচের কিছুটা বিতর্কেরও সৃস্টি হয়। দীর্ঘক্ষন বিলম্বের পর ভিএআর প্রযুক্তিতে পরখ করতে হয় উল্ফসবার্গের ইনজুরি টাইমের একটি গোল। অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে গোলটি স্বীকৃতি পেলে ম্যাচের ফলাফল দাঁড়াতো ৪-৩ গোলে।
নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা পর ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে বায়ার্ন মিউনিখ। এ সময় ‘ক্লাবের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে বড় করে দেখায়’ ইনজুরিগ্রস্ত অধিনায়ক ম্যানুয়েল ন্যয়ারের বিষয়ে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেন বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর হাসান সালিহামিডজিক।
গত ডিসেম্বরে স্কি দূর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যাওয়া ন্যয়ার তার দীর্ঘদিনের গোলকিপিং কোচ টনি টাপারোভিচকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, তার মনে হচ্ছে ‘হৃদয় ছিড়ে গেছে’। জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ডকে সালিহামিডজিক বলেন,‘ আমি বুঝতে পারছি ম্যানুয়েল ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি তার কাছ থেকে ভিন্ন আচরণ আশা করেছিলাম।’
এদিকে গতকালের ম্যাচে বায়ার্ন দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় খেলেছে ১০ জন নিয়ে।  দুটি হলুদ কার্ড দেখে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে মিডফিল্ডার জসুয়া কিমিচ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় এমনটি ঘটেছে।
ম্যাচের নবম মিনিটেই ফরাসি ফরোয়ার্ড কিংসলে কোম্যানের বাঁকানো শটের বল সরাসরি জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বায়ার্ন (১-০)। গোল রক্ষক কোয়েন ক্যাসটিলসকে পাশ কাটিয়ে বলটি  চলে যায় স্বাগতিকদের জালে। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ফের গোল করেন তিনি। ১৪ মিনিটে জোয়াও ক্যানসেলোর ভাসিয়ে দেয়া বলটি দারুন দক্ষতায় জালে জড়ান কোম্যান (২-০)। আরো ৫ মিনিট পর তৃতীয় গোল পায়  বায়ার্ন। এবার ডি বক্সের বাইরে কোম্যানকে ফাউল করায় ফ্রি কিক পায় বায়ার্ন। ১৯ মিনিটে কিমিচের ফ্রি কিকের বল দর্শনীয় হেডে জালে জড়িয়ে দেন থমাস মুলার। ফলে ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ।
এদিকে সেপ্টেম্বরের পর প্রথম গোলের দেখা পাওয়া মুলার পৌঁছে যান বায়ার্নের হয়ে লিগে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ডের সমতায়। ৪২৭ গোল করে এতোদিন এককভাবে ওই রেকর্ডের মালিক ছিলেন গার্ড মুলার।
বিরতিতে যাবার আগ মুহুর্তে ৪৪তম মিনিটে অবশ্য একটি গোল পরিশোধ করে  স্বাগতিক উল্ফসবার্গ। পাওলো ওটাভিও’র যোগান থেকে কামিনস্কি লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান কমে ৩-১ গোলে নেমে আসে।
বিরতির পর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মুসিয়ালা ফের গোল করে দলকে নিরাপদ দূরেত্ব পৌঁছে দেন (৪-১)। যে কারণে ম্যাচের ৮০ মিনিটে মাত্তিয়াস সভানবার্গ আরো একটি গোল পরিশোধ করলেও (৪-২) খুব একটা শংকিত হতে হয়নি বায়ার্নকে। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের ওই ব্যবধানে জয় নিয়ে ইউনিয়ন বার্লিনের কাছ থেকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করে বায়ার্ন।
রোববার অনুষ্ঠিত লিগের আরেক ম্যাচে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়লাভ করেছে ওয়ার্ডার ব্রেমেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

লাবোর্দের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে মার্শেইকে হারালো নিস

শেষটা ভাল চায় ঢাকা