ভিতরে

প্রস্তুত ফ্রান্সের লোরিস

প্রায় এক দশকেরও বেশী সময় যাবত  ফ্রান্স ফুটবল দলের  অধিনায়কের পদ আগলে রাখা হুগো লোরিস কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এক ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশী ম্যাচ খেলার রেকর্ডের হাতছানি এখন লোরিসের সামনে।
১২ বছরের আন্তর্জাতি ক্যারিয়ারে কাল আল বায়াত স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামলে সেটা হবে ফ্রান্সের হয়ে লোরিসের ১৪৩তম ম্যাচ খেলার। এর আগের রেকর্ডটি ছিল লিলিয়ান থুরামের। 
২০১৩ সাল থেকে লোরিস ও ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন টটেন্যাম হটস্পারে একে অপরের সতীর্থ। কিন্তু ঐ সময়ের মধ্যে ফরাসি গোলরক্ষক  নিজকে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে লরেন্ট ব্ল্যাঙ্কের হাত থেকে নেয়া আর্মব্যান্ডটি এখনো হাতে পড়ে খেলতে নামেন লোরিস। 
ফ্রান্সের সহকারী কোচ গাই স্টিফান বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারে এমন একটি অর্জন এবং একইসাথে সবোচ্চ পর্যায়ে ১০-১২ বছর নিজেকে ধরে রাখা সত্যিই অসাধারন। লোরিসকে  খুব কমই ইনজুরিতে পড়তে দেখা গেছে, এতেই প্রমানিত হয় তিনি কতটা ধারাবাহিক ছিলেন।’
এ মাসের ২৬ তারিখে লোরিস ৩৬ বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম যখন তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পান তার থেকে নিজেকে অনেক বেশী পরিবর্তিত করে তুলেছেন। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে পরাজিত হবার পর চার বছর আগে রাশিয়ায় তার হাতে উঠে বিশ^কাপের শিরোপা। কাতারে আসার ঠিক আগে লোরিস বলেছিলেন, ‘আমি স্বাভাবিক ভাবেই এই পর্যায়ে এসেছি। ২৩ বছর বয়সে আমি যা ছিলাম তার থেকে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ঐ বয়সে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়াটা আমার কাছে বিশেষ কিছুই ছিল।’
২০১৮ সালের বিশ^কাপ জয়ী দলটি থেকে রক্ষনভাগের বেশ কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন হলেও লোরিস ঠিকই দিদিয়ের দেশ্যমের পছন্দের গোলরক্ষক হয়েই  টিকে আছেন। রাশিয়া বিশ^কাপে মূল দলে ছিলেন শুধুমাত্র রাফায়েল ভারানে। দলের প্রতি অবদান রাখার কারনে লোরিসের প্রশংসা করেছে ভারানে। যদিও পরিসংখ্যান বলে আগের মত লোরিস আর সেভাবে সার্ভিস দিতে পারছেন না। এবারের বিশ^কাপে লোরিস তার সামনে আসা শটগুলোর মধ্যে ৪০ শতাংশ রক্ষা করতে পেরেছেন, ২০১৮ সালে যা ছিল ৬৭ শতাংশ। 
কিন্তু তার প্রভাব ফ্রান্স দলে এসব পরিসংখ্যানেরও অনেক উর্ধ্বে। বেশ কিছু তারকাকে দল থেকে বাদ দিলেও দেশ্যম অভিজ্ঞ লোরিসের উপরই সবসময় আস্থা রেখেছেন। মধ্যমাঠে এবার পল পগবা ও এন’গোলে কান্তে ইনজুরির কারনে খেলতে পারেননি। 
২০২৪ সাল পর্যন্ত টটেনহ্যামের সাথে চুক্তি থাকলেও লোরিস ঠিকই জানেন ক্যারিয়ারে সপ্তম বড় টুর্ণামেন্ট হিসেবে কাতারই তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে শেষ টুর্ণামেন্ট। এ সম্পর্কে লোরিস বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য একটি বড় সুযোগ, কারন এটাই আমার শেষ বিশ^কাপ। পরেরটি আসবে চার বছর পর, এই মুহূর্তে আমি সর্বোচ্চ দেবারই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

সুস্থ হয়ে ইংল্যান্ডের অনুশীলনে ফিরেছেন রাইস

‘গণমাধ্যমের রিপোর্টে আরো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে পর্তুগাল: রোনাল্ডো