ভিতরে

পেঁয়াজের দাম কমল কেজিতে ৭-৮ টাকা

দিনাজপুরের হিলি বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৭-৮ টাকা কমেছে দাম। এর আগের সপ্তাহে আমদানি কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের কেজি ১০ টাকা বেড়ে যায়।বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে হিলি বন্দরের আমদানিকারক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, আমদানি বেশি হলে দাম আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলু হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হয়েছিল। সেই সঙ্গে ভারতেও বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছিল। এখন পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে, দামও কমে আসছে।হিলি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার মো. সহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত ১৬ অক্টোবর ইন্দোরের পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ (২০ অক্টোবর) বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে। আর নাসিকের পেঁয়াজ ৪৩ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কেজিতে। ’

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে ইন্দোরের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে। নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. হারুন-উর-রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভারতে অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই ভারতেই দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে আমদানিতে। আস্তে আস্তে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আশা করছি দ্রুত বাংলাদেশে পেঁয়াজর দাম ২০ টাকায় নেমে আসবে।হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর এই বন্দর দিয়ে ৫৫টি ভারতীয় ট্রাকে এক হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক আছে। ’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ঢাকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও টেকসই অবকাঠামোর প্রদর্শনী শুরু

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী