ভিতরে

চট্টগ্রামে করোনায় নতুন ২২ জন সংক্রমিত

 চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। 
করোনা সংক্রান্ত চট্টগ্রামের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ প্রেরিত রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ২২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৭ জন ও  তিন উপজেলার ৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে ৩ জন এবং হাটহাজারী ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ৯০ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯৭২ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩০ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮টিতে করোনার জীবাণু মিলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩ নমুনার মধ্যে শহরের ২টি ও গ্রামের একটিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। 
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার পর শহরের ৪ জনের শরীরে সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষার করা হলে এদের মধ্যে শহরের একজন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৪ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। এছাড়া শেভরনে ৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবে ৫৬ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।  
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ২৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আরটিআরএলে শতভাগ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪০, এভারকেয়ার হসপিটালে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। 

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

পতেঙ্গা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু